পাতা:পসরা - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জীবন-যুদ্ধে

 খুঁজিয়া খুঁজিয়া চাকুরি আর মিলিল না। তাহার বিদ্যার অভাব ছিল না; অভাব ছিল শুধু সুপারিসের। বিদ্যার অভাবে চাকুরি হয়। সুপারিসের অভাবে হয় না।

 বড়সাধে পিতা, ছেলের অপূর্ব্ব নামকরণ করিয়াছিলেন,—কুবেরচন্দ্র। একালের রাজ্যশূন্য মহারাজের মত কুবেরও যে ঐশ্বর্য্যশূণ্য হইতে পারে, নামকরণের সময়ে পিতার সে খেয়াল আদোপেই ছিল না। বাঙ্গলাদেশে, পয়স। যদিও সুলভ নয়, কিন্তু ‘বিয়ের কনে’ বড় সুলভ। কুবেরচন্দ্রের এফ, এ পাশ করিবার পূর্ব্বেই রাঙ্গা-বউ ঘরে আসিল। এবং বছর-তিন যাইতে না যাইতেই শ্রীমান কুবেরচন্দ্র বেশ ভালরকমেই টের পাইলেন যে, ঊর্ব্বরা বঙ্গভূমির, কোলে মানুষ হইয়া তাঁহার স্ত্রী সরলাও বেশ সুফলা! ইতিমধ্যে কুবেরচন্দ্রের পিতাও নিশ্চিত্তমনে পৃথিবীর হাজিরা-বই হইতে নাম কাটাইয়া অনন্ত অবসর লইলেন। সারাজীবন চার্ব্বাক মুনির মতাবলম্বী হইয়া বৃদ্ধ, ঋণ করিয়া বিস্তর ঘৃতপান করিয়া

৮৪