পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বাণিজ্য । مے بله محے سے বৃক্ষ-বগ । ‘এখনকার ভারত, আর তখনকার ভারত মনে করিলেই দীর্ঘ নিশ্বাস না ফেলে এমন একটি বীরও জুওলজিকাল গাডেনে নাই । এখন যে ভারত উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে পাইতেছে না, সে কেবল সেই প্রাচীন হঃখের স্মৃতি জন্ত। নিয়ত অশ্রুপাতে সেই উন্নতিপথ এখন কর্দমময় হইয়াছে ; এ কাদা চহলায় বাটীর বাহির হওয়া দায়, সুতরাং ভারত কেমন করিয়া অগ্রসর হইবে ? যখন বড় বড় পোতাধ্যক্ষ পত পত শব্দে নীল পতাকা, শ্বেত পতাকা, কৃষ্ণ পতাকা উড জীয়মান করিয়া ভিন্ন ভিন্ন দেশ-দেশান্তরে বাণিজ্যৰ্থ গমন করিত, তখনকার ভারতের শোভাই কত । কিন্তু ভবভূতি এই বাণিজ্যের হ্রাস দেখিয়া যখন তুঃখ করিলেন ;— “তে হুি নো দিবস। গতাঃ” তাহার পূর্ব হইতেই ভারতের গৌরব লুপ্তপ্রায়। তখনকার প্রসিদ্ধ সওদাগর আমবণিক হনুমস্তের নাম মাত্র অবশিষ্ট । ফলতঃ আর আমাদের হুঃখের নিশা থাকিবে না , “স্বল্প তিষ্ঠতি শর্করী।” এখন প্রাচীন তৰাস্থসন্ধায়ী পণ্ডিতবর্গ আমাদের শোকশেল উৎপাটনে ব্ৰতী হইয়াছেন ; বরাহের স্তায় ইহঁরা বেদোদ্ধারে কুতসঙ্কল্প হইয়া লেখনীন্তে পূৰ্ব্বগৌরব অনেকটা চাগাইয়া তুলিয়াছেন। আমুর প্রস্তাববাহুল্য না করিয়া তাহদের পরিশ্রমের ফল সংগ্ৰহ করিয়া এ প্রস্তাবের উপসংহার করির।