পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাবুলস্থ সংবাদদাতার পত্র। O 2 মারে, কাটে অথবা ধরিয়া আনে। আমি যে যুদ্ধ দেখিলাম, ইহা যদি সে রকমের হইত, তাহা হইলে তাহার বিবরণ লিখিয়া আমি কষ্ট পাইতাম না। এখনকার যুদ্ধ অতি আশ্চৰ্য্য এবং কৌশলময়। কাবুলবাসিগণ দলবদ্ধ হইয়া যুদ্ধ করিতে জানে না। একাএক মল্লযুদ্ধ করিতে ভাল বাসে বলিয়া আমার বোধ হইল। কাবুলে যাহার বাস, সে-ই আমাদের শক ; যে পুরুষ কাবুলের ভিতর পদচারণা করে, সে-ই মল্লযুদ্ধে অগ্রসর হয়—রবার্ট সাহেব এ কথা আমাকে আগে হইতে শিখাইয়া রাখিয়াছিলেন। প্রেস কমিশনর মহোদয়ের প্রদত্ত চসমার গুণে আমি নিজেও দেখিলাম যে তাহ যথার্থ। তাহাতেই যুদ্ধের প্রক্রিয়াটা ভালমতে উপলব্ধি করিতে পারিলাম। লড়াই এইভাবে হইতেছিল ;—মনে করুন, একজন কাবুলী আমদের বাসার নিকট দিয়া যাইতেছে, এবং তাহার তুই হাত দুই পাশে ঝুলিতেছে বা তুলিতেছে। ইংরেজীভাষায় বাহু এবং অস্ত্রের একই নাম আৰ্ম্ম ; সুতরাং ইংরেজী মতে সে ব্যক্তি সশস্ত্র শত্ৰু, যুদ্ধার্থে অগ্রসর, অতএব সাধ্য পক্ষে বধ্য। আমাদের পক্ষে অর্থাৎ ইংরেজ পক্ষে এই মীমাংসা হইবামাত্র তাহাকে রণে পরাভূত করিবার উপায় স্থির করা আবগুক ; আমনি পাচ সাত জন সৈনিক সেই কাবুলীটার দিকে দোঁড়িল, হুই চারিজন তুই একটা বুসা ঘসি খাইল, তাহার পর কাবুলী ধরা পড়িল। রবার্ট সাহেব সেনাপতি, তথাপি অবিচারক নহেন ; তাহার সম্মুখে পাপিষ্ঠ কাবুলী আনীত হইবামাত্র, তিনি বিচার করিয়া দেখিলেন যে, সে ব্যক্তি কাবানিয়ারি সাহেবকে স্বহস্তে হত্যা করিয়াছে । আমিও দেখিতে পাইলাম, তাহার বিস্ময়াবিষ্ট মুখে হত্যার চিহ্ন সমস্ত দেীপ্যমান ; তখন আমার চসম আর রবার্ট সাহেবের একমত হওয়াতে, তিনি আমাকে বলিলেন—খুন করিলে ফালি হয়, ইহা যথার্থ কি না?e