পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তৃতীয় ভাগ
১৫৩

This turning movement is accompanied by a violent shaking of the train, the quills of which rattle like the pattering of rain upon leaves. Often this movement is followed by a loud scream.”

 এইরূপে ভবনশিখীকে নাচাইয়া যক্ষপত্নী যেমন কতকটা সময় অতিবাহিত করিতেন, তেমনই আবার আর একটি পোষা পাখী তাঁহাকে তাঁহারসারিকা নির্ব্বাসিত স্বামীর কথা স্মরণ করাইয়া দিত। সেটি একটি সারিকা। এই সারিকা যক্ষের অতিশয় প্রিয় ছিল। দূতকে বিদায় দিবার সময় যক্ষ এই সারিকার উল্লেখ করিয়া বলিতেছেন,—

আলোকে তে নিপততি পুরা সা বলিব্যাকুলা বা,
মৎসাদৃশ্যং বিরহতনু বা ভাবগম্যং লিখন্তী।
পৃচ্ছন্তী বা মধুরবচনাং সারিকাং পঞ্জরস্থাং
কচ্চিদ্‌ভর্ত্তুঃ স্মরসি রসিকে! ত্বং হি তস্য প্রিয়েতি॥

 আর্য্যাবর্ত্তে অতি প্রাচীনকাল হইতে গৃহস্থ সারিকা পালন করিতে ভালবাসিতেন, তাহার ভূরি ভূরি নিদর্শন প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে দেখিতে পাওয়া যায়। তৈত্তিরীয় সংহিতাকার লিখিতেছেন,—

সরস্বত্যৈ শারিঃ শ্যেতা পুরুষবাক্ সরস্বতে শুকঃ শ্যেতঃ
পুরুষবাক্।—৫ ৫ ১২

 মহাভারতে অনুশাসন পর্ব্বে লিখিত আছে—

গৃহে পারাবতা ধন্যা শুকাশ্চ সহ সারিকাঃ
গৃহেষ্বেতে ন পাপায়।—অধ্যায় ১০৪, শ্লোক ১১৪।

 শ্রীমদ্ভাগবতের চতুর্থ স্কন্ধে সারিকাকে স্রক্, চন্দনমালা, দর্পণ প্রভৃতির ন্যায় নারীদিগের অত্যাবশ্যক বিলাসের সামগ্রী বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে। সতী দক্ষযজ্ঞ-সভায় যাইতেছেন,—