পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৬
পাখীর কথা

 একদিন আসন্ন সন্ধ্যায় রাজ্ঞী কাশীরাজ-তনয়ার নিকট হইতে বার্ত্তা বহন করিয়া কঞ্চুকী রাজসমীপে আসিতেছেন; রাজপ্রাসাদ দিবাবসানে রমণীয় বোধ হইতেছে; বাসযষ্টিগুলির উপরে নিশানিদ্রালস বর্হী চিত্রার্পিতের ন্যায় বোধ হইতেছে; গৃহবলভিতে পারাবতগুলি গবাক্ষজাল-বিনিঃসৃত ধূপে সন্দিগ্ধ ভাব ধারণ করিয়াছে।

উৎকীর্ণা ইব বাসযষ্টিষু নিশানিদ্রালসা বর্হিণে।
ধূপৈর্জালবিনিঃসৃতৈর্বলভয়ঃ সন্দিগ্ধপারাবতাঃ॥

 রাজাকে ডাকাইয়া আনিয়া রাণী বলিলেন—“আর্য্যপুত্রকে পুরঃসর করিয়া অমি চন্দ্ররোহিণীসংযোগ ঘটিত যে ব্রত গ্রহণ করিয়াছি তাহার উদ্‌যাপনের জন্য আপনাকে নিবেদন করিতেছি যে, আর্য্যপুত্র যে রমণীকে লইয়া সুখী হইবেন এবং যে রমণী আর্য্যপুত্র-সমাগম প্রণয়িনী, তাঁহাদের উভয়ের মিলনে যেন কোনও বাধা না হয়”।

 তাহাই হইল। উর্ব্বশী-পুরুরবার মিলনের উপর তৃতীয় অঙ্কের যবনিকা পতিত হইল।

 চতুর্থ অঙ্কে খণ্ডিতা উর্ব্বশী পুরুরবার সঙ্গ পরিত্যাগ করিয়া কুমার বনে প্রবেশ করিতে গিয়া লতায় পরিণত হইয়া গেলেন। তাঁহার দুর্গতিতে সহজন্যা ও চিত্রলেখা সখীদ্বয় সরোবরে সহচরীদুঃখালীঢ় বাষ্পাপবল্‌গিতনয়ন হংসীযুগলের দশা প্রাপ্ত হইল। উন্মাদগ্রস্ত রাজার চক্ষু অশ্রুপরিপ্লুত; সঙ্গিনীবিরহে কম্পিতপক্ষ হংসযুবার ন্যায় তিনি কাতর হইয়া পড়িলেন—

হিঅআহিঅপিঅদুক্‌খও সরবরএ ধুদপক্‌খও
বাহোবগ্‌গিঅণঅণও তম্মই হংসজুআণও।

পরক্ষণে তিনি স্পর্দ্ধার সহিত বলিলেন, আমি রাজা, কালের নিয়ামক। এই বর্ষাকে সবলে ঠেলিয়া ফেলিয়া পরভৃত-সহচর বসন্তের