পাতা:পাখীর কথা - সত্যচরণ লাহা.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম ভাগ
৭৩

দায়ী। একদিন সে অসহায় অবস্থায় কোন গহন কাননে অথবা মরু-প্রান্তরে তাহার নিষ্ঠুর মাতা কর্ত্তৃক পরিত্যক্ত হইয়াছিল; সেই অসহায় অবস্থায় আর একটা ভিন্নজাতীয় পাখী দয়াপরবশ হইয়া তাহাকে অপত্যনির্ব্বিশেষে লালন করিতে লাগিল। কিছুকাল পরে সে তাহার ধাত্রীর আবাস হইতে উড়িয়া চলিয়া গেল। সে যখন আবার কালক্রমে জনক অথবা জননী হইয়া কোনও কারণে নিজ নীড়ে ডিম ফুটাইবার সুবিধা পাইল না, তখন হয় ’ত নিজের শৈশব-কথা স্মরণ করিয়া যে-পাখীর কাছে আদর যত্ন পাইয়া অত্যন্ত নিরুপায় অবস্থায় লালিত ও বর্দ্ধিত হইয়াছিল, সেই জাতীয় পাখীর কুলায়ে ডিম্বটি রাখিয়া আসিলে তাহা সযত্নে রক্ষিত হইবে এই স্থির করিয়া হয় ’ত সে স্বেচ্ছায় পরের বাসায় নিজের শাবক ফুটাইয়া লইতে আরম্ভ করিল। ইঁহারা বলেন যে, সম্ভবতঃ parasitismএর ইতিহাসের গোড়ার সঙ্গে বোধ হয় এমনই করিয়া পাখীর শৈশব-স্মৃতি জড়িত হইয়া আছে। ইহাও একটা theory মাত্র। এখানেও দেখা যাইতেছে যে, একটা বড় ‘হয় ত’ রহিয়া গেল। উপায় নাই; কারণ এ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক হিসাবে শেষ পাকা কথা এখনও বলা যায় না।