জঠিল। কিন্তু কর্মের বাহুল্য হইলেও, বিদ্যানুশীলন বিষয়ে তাঁহার যে গাঢ় অনুরাগ ছিল, তাহার কিঞ্চিাত্রও ব্যতিক্রম ঘটিল না প্রত্যহ তুর্ষ্য বিষয়ে ক্রমাগত দ্বাদশ অথবা চতুর্দশ হোরা পশ্রিম করিয়া অত্যন্ত ক্লান্ত হইতেন, কিন্তু তৎপরে এক মুহু ও বিশ্রাম না করিয়া পুনর্ব্বার বিশুদ্ধ ও বিমিশ্র গণিত বিদ্যার অনুশীলন আরম্ভ করিতেন।
এইরূপে হলে ক্রমে ক্রমে রেখাগণিতে বুৎপন্ন হইয়া উঠিলেন এবং তখন আপনাকে পদার্থবিদ্যার অনুশাসনে সমর্থ জ্ঞান করিলেন। পদার্থবিদ্যার নানা শাখার মধ্যে জ্যোতিষ ও দৃষ্টিবিজ্ঞান এই দুই বিয়য়ে তাহার সবিশেষ অনুরাগ জন্মে। ঐ সময়ে জ্যোতিষসংক্রান্ত কতিপয় অভিনব আৰিফিয়া দর্শনে তাহার অন্তঃকরণে অত্যন্ত কৌতুহল উদ্বুদ্ধ হইল। তদনুসারে তিনি অবকাশ কালে উক্ত বিদ্যাবিষয়ক গবেষণাতে মনোনিবেশ করলেন।
গ্রহমণ্ডলীবিষয়ক যে যে অদ্ভুত ব্যাপার পুস্তকে পাঠ করিয়াছিলেন, সে সমস্ত স্বয়ং পর্যবেক্ষণ করিবার নিমিত্ত, কোন প্রতিবেশবাসীর সন্নিধান হইতে, একটী দূরবীক্ষণ চাহিয়া আনিলেন। তদ্দর্শনে অপরিসীম হর্ষ প্রাপ্ত হইয়া, ক্রয় করিবার বাসনায়, অবিলম্বে ইংলণ্ডের রাজধানী লণ্ডন নগর হইতে, তদপেক্ষায় অনেক বড় একটা আনাইবার উদযোগ করিলেন। কিন্তু তিনি যত অনুমান করিয়াছিলেন ও তাহার যত দিবার সঙ্গতি ছিল, তাহার মূল্য তদপেক্ষায় অধিক হইতে ক্রয় করিতে পারিলেন না। সুতরাং যৎপরোনাস্তি ক্ষোভ পাইলেন। ক্ষোভ পাইলেন বটে; কিন্তু ভগ্নোৎসাহ হইলেন না-তৎক্ষণাৎ সেই অক্রেয় দূরবীক্ষণের তুলবল দূরবীক্ষণান্তর নির্মাণ স্বহস্তেই আরম্ভ করিলেন। এই বিষয়ে বারংবার বিফলপ্রযত্ন হইয়াও