কিঞ্চিৎ শান্ত হইয়া, দুর্ব্বাসা অভিজ্ঞান দর্শনকে শাপমোচনের উপায় নির্ধারিত করিয়া দিয়াছেন। সেই নিমিত্ত অঙ্গুরীয় দর্শন মাত্র শকুন্তলার বৃত্তান্ত পুনর্ব্বার তোমার স্মৃতিপথে আরূঢ় হয়।
দুর্ব্বাসা শাপবৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া, সাতিশয় হর্ষিত হইয়া, রাজা কহিলেন। তগবন! এক্ষণে আমি সকলের নিকট সকল অপরাধ হইতে মুক্ত হইলাম। শকুন্তলাও শুনিয়া মনে মনে কহিতে লাগিলেন এই নিমিত্তই আমার এই দুর্দশ! ঘটিয়াছিল। নতুবা, অর্ষপুত্র এমন সরলহৃদয় হইয়া, কেন আমাকে অকারণে পরিত্যাগ করিবেন! দুর্বাসার শাপই আমার সন্ধ্যাশের মূল। এই জন্যেই, তপোবন হইতে প্রস্থান কালে সখীরাও যত্ন পূর্ব্বক, আর্যপুত্রকে অঙ্গুৱীয় দেখাইতে কহিয়াছিলেন। আঙ্গি ভাগ্যে এই কথা শুনিলাম; নতুবা যাবজ্জীবন আমার অন্থঃকরণে আপুত্র অকারণে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন বলিয়া, ক্ষোভ থাকি। পরে,কশ্যপ রাজাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন বংস! তোমার এই পুত্র সসাগরা সদ্বীপ পৃথিবীর অন্বিতীয় অধিপতি হইবেন এবং সকল ভুবনের ভর্তা হইয়া উত্তর কালে ভরত নামে প্রসিদ্ধ হইলেন। তখন রাজা কহিলেন ভগবন্! আপনি যখন এই বালকের সংস্কার করিয়াছেন তখন ইহাতে কি না সম্ভণিতে পারে? অদিতি কহিলেন অবিলম্বে কণ্ঠ ও মেনকার নিকট এই সংবাদ প্রেরণ করা আবশ্যক। তদনুসারে কশ্যপ,দুই শিষ্যকে আহ্বান করিয়া,কণ ও মেনকার নিকট সংবাদ দানাথ প্রেৰণ করিলেন এবং রাজাকে কহিলেন বৎস! বহু দিবস হইল রাজধানী হইতে আসিয়াছ, অতএব আর বিলম্ব না করিয়া, দেবরখে আরোহণপুর্ব্বক পত্নী পুত্র সমভিব্যাহারে প্রস্থান কর। তখন রাজা, মহাশয়ের যে আজ্ঞা, এই বলিয়া, প্রশাম ও প্রদক্ষিণ করিয়া, সন্ত্রক সপুত্র থে আরোহণ করিলেন এবং নিজ রাজধানী প্রত্যাগমনপূর্বক পন সুখে রাজ্য শাসন ও প্রজা পালন করিতে লাগিলেন।
১০