శ్రీ পাঠসার । ভবানী পরম রূপবতী ছিলেন । আন্তরিক সৌন্দর্য্যের অভাবে, শারীরিক সৌন্দর্য্যের কিছুমাত্র মূল্যই থাকে না ; বরং তাহাতে অপকারই হইয়া থাকে । ভবানীর শরীর মন উভয়ই পরম সুন্দর ছিল । বাহ সৌন্দর্য্য অপেক্ষ শতগুণ অধিক সৌন্দর্য্যে র্তাহার অন্তর পরিপূর্ণ ছিল। র্তাহার মুখমণ্ডলের দিকে তাকাইলে, বাল্যকালেই যেন তাহাকে প্রতিভা,দয়া ও পবিত্রতার প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া বোধ হইত। এই জন্ত তিনি নাটোরাধিপতি রাজা রাম জীবনের পুত্রবধূ মনোনীত হইয়াছিলেন । রামজীবনের পুত্র রাজা রামকাস্তের সঙ্গে ভবানীর বিবাহ হওয়াতেই, তিনি রাণী উপাধি পাইয়াছিলেন । বামজীবনের মৃত্যুর পরে তৎপুত্র রামকান্ত, অষ্টাদশ বর্ষ বয়সে রাজ্যলাভ করিলেন । বাল্যকালাবধি সুশিক্ষা না পাওয়াতে, রামকান্তের মতি গতি বড় ভাল ছিল না । পিতৃহীন হইয়া এবং রাজ্য লাভ করিয়া, তিনি বড় উচ্ছ জ্বল-প্রকৃতি হইয়া উঠিলেন । অবিবেচক, স্বার্থপর ও চাটুকার বয়স্তদিগের কুপরামর্শে, রামকান্ত নানা কুকাৰ্য্য করিয়া, পিতার সঞ্চিত ধনরাশি নষ্ট করিয়া ফেলিলেন । রাণী ভবানীর বয়স তখন পনের ষোল বৎসরের অধিক ছিল না । এই বয়সেও স্বামীকে সৎপথে আনয়ন করিবার জন্ত তিনি বিস্তর চেষ্টা করিয়াছিলেন । দয়ারাম
পাতা:পাঠসার.djvu/১১৮
অবয়ব