পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৮ ' পাতঞ্জল দর্শন। [ পা ১ । সূ ৫০ । ] ংস্কার উৎপন্ন হইয়া থাকে। এই সমাধি হইতে উৎপন্ন সংস্কার ব্যুত্থানসংস্কারের নাশক হয়, বুখানসংস্কারের অভিভব হইলে আর তাহ হইতে জ্ঞান জন্মিতে পারে না (সংস্কার থাকিলেই জ্ঞান হয়), ব্যুত্থানপ্রত্যয় নিরুদ্ধ হইলে অপ্রতিহতভাবে সমাধি উপস্থিত হইতে পারে, সমাধি হইলেই পূৰ্ব্বোক্ত প্রজ্ঞা ও তজ্জষ্ঠ সংস্কার জন্মে, এই ভাবে নুতন নূতন সংস্কার জন্মে। (প্রশ্ন) প্রজ্ঞাকৃত এই সংস্কারাতিশয় চিত্তকে অধিকারবিশিষ্ট (ভোগের জনক) কেনই বা না করে ? অর্থাৎ নিরন্তর যদি প্রজ্ঞাকৃত সংস্কার হইতে থাকে তবে তাহাও ত’ এক প্রকার বন্ধবিশেষ, পুরুষের স্বরূপে অবস্থিতি না হইলেই বন্ধ বলা যায়। (উত্তর ) প্রজ্ঞাকৃত ঐ সমস্ত সংস্কার অবিদ্যাদি পঞ্চ ক্লেশের ক্ষয়কারণ, সুতরাং চিত্তের অধিকার অর্থাৎ কাৰ্য্যারম্ভ জন্মায় না, ঐ প্রজ্ঞাকৃত সংস্কার সমুদায় চিত্তকে স্বকাৰ্য্য ভোগজনন হইতে নিবৃত্ত করে, যেহেতু খ্যাতি অর্থাৎ বিবেকঞ্জান পৰ্য্যন্ত চিত্তের চেষ্ট হয়, ( আত্মার সাক্ষাৎকার র্যাহার হয়, প্রকৃতি র্তাহার উদ্দেশে আর কোনই কাৰ্য্য করে না ) ॥ ৫০ ॥ মন্তব্য। যদিচ অনাদিকাল হইতে চিন্তভূমিতে মিথ্যা সংস্কার নিরূঢ়ভাবে রহিয়াছে, তথাপি যথার্থ জ্ঞানজন্ত সংস্কার অর্থাৎ সমাধি জ্ঞান হইতে উৎপন্ন সংস্কার তাহাকে বিনাশ করিতে পারে, কারণ তত্ব পক্ষপাতই বুদ্ধির স্বভাব, বুদ্ধি একবার যথার্থ বস্তুকে বিষয় করিতে পারিলে আর কেহই তাহাকে বিচলিত করিতে পারে না, “নিরুপদ্রবভূতাৰ্থস্বভাবস্ত বিপৰ্য্যয়ৈঃ। ন বাধে|হনাদিমত্ত্বেহপি বুদ্ধেস্তৎপক্ষপাতত:,” অর্থাৎ অনাদি হইয়াও মিথ্য সংস্কার যথার্থ জ্ঞানের বাধক হয় না, কারণ যথার্থ বিষয় অবগাহন করাই বুদ্ধির স্বভাব। কি জ্ঞান, কি সংস্কার, কি সুখদুঃখাদি কোনও একটা ধৰ্ম্মের আরোপ হইলেই পুরুষের বন্ধন হয়, পুরুষের স্বরূপে অবস্থিতিকেই মুক্তি বলে, সমাধিসংস্কার চিরকাল থাকিলে পুরুষের মুক্তি হইতে পারে না, তাই ভাষ্যকার বলিয়াছেন “ন তে চিত্তমধিকারবিশিষ্টং কুৰ্ব্বন্তি।” চিত্তের ধৰ্ম্মই পুরুষে মোরোপ হয়, কেবল চিত্তের প্রতিবিম্ব পড়ে না, চিত্ত স্থির (বৃত্ত্বিবিহীন) হইলেই আপন হইতেই পুরুষ স্থির হইতে পারে ॥ ৫• ॥ ভাষ্য । কিঞ্চ অস্ত্য ভবতি ।