পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રા-૨ পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ৩। সু ৫২ ৷ ] অপকর্ষ (মুনতা) শেষ হয় অর্থাৎ যাহার আর বিভাগ হয় না, যাহার অবয়ব নাই, এরূপ দ্রব্যকে যেমন পরমাণু বলে, তদ্রুপ দও পল প্রভৃতি কালের বিভাগ করিতে করিতে যেখানে আর বিভাগ হয় না, সেই নিরবয়ব কালের অংশকে ক্ষণ বলে, পরমাণুতে ক্রিয়া হইয়া যতটুকু সময় মধ্যে পূৰ্ব্বদেশ পরিত্যাগ করে, অথবা উত্তর দেশ গ্রহণ করে সেই স্বল্পকালকে ক্ষণ বলা যায়, উক্ত ক্ষণ ধারার অবিচ্ছেদকে (নৈরন্তৰ্য্যকে ) ক্রম বলে। ক্ষণ ও তৎ ক্রমের বস্তুত: সমাহারণ মিলন ) না হইলেও বুদ্ধিকৃত অর্থাৎ কল্পিত মিলন হইতে পারে। এক সময়ে বিদ্যমান পদার্থ সকলেরই সমাহার সম্ভব, মুহূৰ্ত্ত (দণ্ডদ্বয়) দিব রাত্রি প্রভৃতি কাল ক্ষণেরই সমষ্টি, কিন্তু একটা ক্ষণ উৎপন্ন হইলে তাহার পূৰ্ব্বক্ষণ বিনষ্ট হয়, এইরূপে উত্তরোত্তর ক্ষণের উৎপত্তিতে পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব ক্ষণের বিনাশ হয়, বহুসংখ্যক ক্ষণের মিলন অতি দূরের কথা, দুইট ক্ষণও এক সময়ে মিলিত হইতে পারে না, কেবল বুদ্ধিতে মিলন হয়, অর্থাৎ আমাদের জ্ঞান হয় যেন কতকগুলি ক্ষণ একত্র ক্রমিকভাবে মিলিত হইয়া আছে, উহাই মুহূৰ্ত্ত প্রভৃতি কাল । দিন, মাস প্রভৃতি শব্দ আছে, উহার উচ্চারণ করিলে লোকের একটা জ্ঞানও হয়, অথচ উহা বস্তুশূন্ত অর্থাৎ কিছুই নহে, কেবল বিচারশক্তি রহিত সাধারণের বুদ্ধিতে উখিত হইয়া যথার্থ বলিয়া প্রতীয়মান হয়। উহার মধ্যে ক্ষণটা বাস্তবিক, ক্রমের অবলম্বন, কারণ ক্রম আর কিছুই নহে, কেবল ক্ষণের আনন্তৰ্য্য অর্থাৎ অবিরল ভাবে ক্ষণপ্রবাহই ক্রম। এই ক্রমবিশিষ্ট ক্ষণকেই কালঞ্জের কাল বলিয়া থাকেন। ক্রমটা মিথ্যা, ইহার কারণ, দুইট ক্ষণের একত্র অবস্থান সম্ভব নহে, দুইটীর ক্রমও হইতে পারে না, কারণ সহভাবী (একত্র থাকে) এরূপ দুইটা ক্ষণ নাই। পূৰ্ব্বক্ষণ হইতে উত্তর ক্ষণের যে আনন্তৰ্য্য তাহাই ক্রম। অতএব কেবল বর্তমানই একটী ক্ষণ, পূৰ্ব্বোত্তর অর্থাৎ ভূতভবিষ্যৎ ক্ষণ বলিয়া কিছুই নাই। উহারা স্বশ্নরূপে পরিণাম অর্থাৎ সামান্ত দ্বারা অম্বিত হয়, বস্তুর নূতন পুরাতন ভাবের উপযোগী হয়। অতএব কেবল একটা বর্তমান ক্ষণ দ্বারাই সাধারণের পরিণাম (ক্রিয়া) সম্পন্ন হয়। অপরাপর (ভূত ভবিষ্যৎ) ধৰ্ম্ম সমস্ত ঐ বর্তমানের আশ্ৰিত, অর্থাৎ উহারই অবস্থা মাত্র । উক্ত ক্ষণ ও তাহার ক্রমে সংযম করিয়া সাক্ষাৎকার করিলে বস্তু