পাতা:পারসীক গল্প - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সতীত্ব নাশের প্রমাণ।
১৩

অপরাধে আমি তোমার অর্থদণ্ড করিয়াছি, এখন বোধ হইতেছে, সে দোষে তুমি দোষী নহ। তুমি ওই স্ত্রীলোকের নিকট হইতে তোমার টাকা ফিরাইয়া লও।”

 পুরুষ। ধর্মাবতার! আমি কিরূপে টাকা ফিরাইয়া লইব? ও যদি সহজে না দেয়, তাহা হইলে আমি কি করিব?

 কাজি। ও যদি সহজে সেই টাকা তোমাকে প্রদান না করে, তাহা হইলে উহার নিকট হইতে জোর করিয়া তুমি সেই টাকা কাড়িয়া লইবে ও পরিশেষে উহাকে ধরিয়া আমার নিকট আনয়ন করিবে।

 কাজি সাহেবের আদেশ পাইবামাত্র সে দ্রুতবেগে সেই স্ত্রীলোকের উদ্দেশে চলিল। কিয়ৎক্ষণ পরে সেই স্ত্রীলোককে সঙ্গে করিয়া পুনরায় কাজি সাহেবের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল।

 তখন সেই পুরুষটীকে দেখিয়া কাজি সাহেব কহিলেন, “কেমন তুমি তোমার টাকা পাইয়াছ?”

 পুরুষ। না।

 কাজি। কেন?

 পুরুষ। দিতেছে না।

 কাজি। না দিলে জোর করিয়া কাড়িয়া লইতে আসি আদেশ দিয়াছি।

 পুরুষ। স্ত্রীলোকের হস্ত হইতে জোর করিয়া আমি কিরূপে টাকা কাড়িয়া লইতে পারি?

 কাজি। কাড়িয়া লইতে পার নাই, কিন্তু কাড়িয়া লইতে চেষ্টা করিয়াছিলে?