পাতা:পারসীক গল্প - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬
পারসীক গল্প।

গমন করিলেন, ও অতি উৎকৃষ্ট এক শিশি আতর আনিয়া তাঁহার হস্তে প্রদান করিলেন। কহিলেন, “এই আতরের শিশি লইয়া গিয়া তুমি তোমার স্ত্রীর হস্তে অর্পণ কর ও তাহাকে বলিয়া দেও যে, ইহা অতিশয় উৎকৃষ্ট দ্রব্য; ইহা যেন সে কোনরূপে অপর কাহাকেও প্রদান না করে।”

 কাজি সাহেবের আদেশ শিরোধার্য্য করিয়া, তিনি সেই আতরের শিশি লইয়া গিয়া আপনার স্ত্রীর হস্তে প্রদান করিলেন, ও তাহাকে বিশেষরূপে নিষেধ করিয়া দিলেন, যে, ইহা যেন সে অপর কাহাকেও প্রদান না করে।

 কাজি সাহেব স্ত্রী-চরিত্র সম্বন্ধে যাহা সন্দেহ করিয়াছিলেন, ঠিক তাহাই ঘটিল। প্রণয়িনী সেই উৎকৃষ্ট আতরের কিয়দংশ তাহার প্রণয়ীর বস্ত্রে লাগাইয়া না দিয়া থাকিতে পারিল না। সুতরাং কাজি সাহেবের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হইল, — উত্তম আতরের গন্ধে প্রণয়ী অনায়াসেই ধৃত হইল।



জুয়াচোর জব্দ।


 কোন রাজধানীতে একজন হাকিম বাস করিতেন। চিকিৎসাই তাঁহার ব্যবসা ছিল। রাজচিকিৎসক ব্যতীত গ্রামের ভিতর অপর কোন চিকিৎসক না থাকায়, সেই স্থানের সকলেই তাঁহাকে বিশেষরূপ খাতির করিতেন ও তাঁহার কথায় সকলেই বিশ্বাস করিতেন।