পাতা:পারসীক গল্প - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃত্যু ভয়ে সত্য-প্রকাশ।
২৩

গিয়াছিলেন। অনেক দিবসের কথা বলিয়া আমি সহজে মনে করিয়া উঠিতে পারিতেছিলাম না। এখন আপনি আমার বাড়ীতে আসুন; আমি আপনার সমস্ত অর্থ এখনই প্রদান করিতেছি।” এই বলিয়া হাকিম সাহেব বিশেষ যত্নের সহিত তাঁহাকে আপন বাড়ীতে লইয়া গেলেন, ও তৎক্ষণাৎ তাঁহাকে তাঁহার গচ্ছিত সহস্র মুদ্রা প্রদান করিলেন। মৌলবি সাহেব সহস্র মুদ্রা সহ তখনই গিয়া রাজার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন, ও যেরূপ অবস্থা ঘটিয়াছিল, তাহা ভাঁহার নিকট বর্ণন করিয়া তাঁহাকে শত সহস্র ধন্যবাদ প্রদান করিতে করিতে সেই স্থান পরিত্যাগ করিলেন।



মৃত্যু ভয়ে সত্য-প্রকাশ।


 কোন নগরে একজন মধ্যমাবস্থাপন্ন বণিক বাস করিতেন। তাঁহার একটা ক্রীতদাস ছিল। সেই ক্রীতদাস যখন নিতান্ত শৈশবাবস্থায় ছিল, তখন তিনি তাহাকে ক্রয় করেন, এবং লালনপালন করিয়া তাহাকে বড় করিয়া তোলেন। যে সময় ক্রীতদাস উপায়-ক্ষম হইয়া উঠিল, সেই সময় হঠাৎ একদিবস সে নিরুদ্দেশ হইল। অনেক অনুসন্ধান করিয়াও বণিক তাহার কোনরূপ সন্ধান করিয়া উঠিতে পারিলেন না। ক্রমে দুই এক বৎসর অতিবাহিত হইয়া গেল।