বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য ইতিহাস । । > ° > উলটি পালটি চিত্র হেরিল লইয়া । পশ্চাৎ পশ্চাতে নাম পাইল খুজিয়া । “কাবাল নামেতে রাজা বিক্রম বিশাল | র্তাহার তনয়া এই বেদেল জমাল , ॥ পাইয়া নারীর নাম হরিষ অন্তর। পাত্রে কহিলাম তত্ব করহ সত্তর ॥ কোথায় রাজত্ব করে কাবাল রাজন । যাইব তাহাব দেশে কন্যার কারণ ॥ সায়েদ সন্ধান লাগি অনেক জানায় । কিন্তু তত্ব বাৰ্ত্ত তার কিছু নাহি পায় ॥ সন্ধান না পেরে পলে করি এই পণ । কন্যা জন্য দেশে দেশে করিব ভ্রমণ ॥ এহেন কামিনী যদি খুজিয়া না পাই । । ভ্ৰমিব অরণ্য গিরি দেশে কায নাই ॥ প্রতিজ্ঞা করিয়া কহি পিতার গোচর । দেখিতে বাসনা বড় বোগদাদ নগর । যদি আজ্ঞা দিয়া তুর্ণ করহ বিদায় । কামনা করিয়া পূর্ণ আসিব হেথায় ॥ ছলে কলে ভুলাইয়া লয়ে অনুমতি । বোগদাদ নগরে যাই সায়েদ সংহতি ॥ ধুমধামে যাই হেন ছিল না বাসনা । সঙ্গে মাত্র চলিল কিঙ্কর কয় জনা ॥ দেশ ছাড়ি অঙ্গুলিতে দিলাম অঙ্গুরী। চিত্তহরা চিত্র হেরি কোটা হস্তে করি ॥ দিবা বিভবেরী কথা সায়েদের সনে । বেদেল জমাল দেশ পাইব কেমনে ॥ অবশেষে উত্তরিয়া বোগাদদ বসতি। দেখিলাম রাজধানী চমৎকার অতি ॥ বিজ্ঞ স্থামে সেই খানে সদা করি তত্ত্ব । কোথায় কাবাল রাজা করেন রাজত্ত্ব ॥ শুনিয়া সকলে বলে আমৱা না জানি । বসরা নগরে যাও অাছে এক জ্ঞানী ॥ পাদুনুবণ নাম তার বয়স বিস্তর। লোকে কয় এক শত সগুতি বৎসর ॥ সৰ্ব্বজ্ঞ সুধীর শান্ত অতি জ্ঞান বান । ইহার তদন্ত তুমি পাষে তার স্থান ॥ এত শুনি যাত্রা করি বসরা নগরে । তত্ত্ব করি চলিলাম বৃদ্ধের গোচরে ॥ প্রবীণ জিজ্ঞাসে হাসি কহ অভিপ্রায় । তোমাদের আগমন কি লাগি হেথায় ॥ কহিলাম মহাশয় করি নিবেদন । কাবাল রাজার নাহি পাই অন্বেষণ ॥ বোগদাদে করিতে তত্ত্ব বিজ্ঞগণ স্থানে । র্তার পাঠাইয়া দিল তব সন্নিধানে ॥ সব তত্ত্ব জান তুমি বহু দশী জন । কাবাল রাজার কিছু কহ বিবরণ ॥ বৃদ্ধ বলে বিশেষ না জানিতার ধাম । অতিথি পথিক মুখে শুনা মাত্র নাম । সিংহল দ্বীপের কাছে আছে এক দ্বীপ। তথায় রাজত্ব করে কাবাল অধিপ ॥ যেমন শুনেছি কৰ্ণে কহিলাম তাই । ভ্রম হলে হতে পারে সত্য জানি নাই ॥ বৃদ্ধের নিকটে এই আভাষ পাইয়ণ । চলিলাম সেই দণ্ডে প্রণাম করিয়া ॥ সদাগরি তরি এক স্থরাটেতে যায়। যাত্রা করিলাম মোরা অারোহিয়া তায় ৷ গোয়াতে গমন করি সুরাট হইতে । তরণী মিলিল তথা সিংহল যাইতে ॥ চলিলাম মুখে সবে তরণী বাহিয়া । সে দিন সহায় হলো পবন আসিয়ণ ॥ . পরদিন বৈরিভাব ধরিল অনিল । চঞ্চল হইল অতি সাগর সলিল ॥ | প্রলয়ের প্রায় বায়ু বহিতে লাগিল। পৰ্ব্বত সমান ঢেউ উঠিতে থাকিল ॥ তরঙ্গে তরণী তুলে গগণ মণ্ডলে । কখন নামায়ে যেন ফেলায় অতলে ৷ উত্তঙ্গ তরঙ্গ ক্ষণে নাহি হয় হ্রাস । আতঙ্কে অবশ অঙ্গ ছাড়ি প্রাণ অtশ ॥