Nうぐ。 নৃপতির কাছে গেল দার্দেনী সহিতে । বশরায় গমনের বিদ্ময় লইতে ॥ অশ্ব গজ সৈন্য সঙ্গে দিলেন ভূপতি। চলিল পরম রঙ্গে যুবক যুবতী ॥ বশরায় উত্তরিয়া বণিক নন্দন । লাগিল সুখেতে কাল করিতে যাপন ॥ হেথা আবলের গল্প সমাপ্ত হইল। ধাত্রীরে সকল সখী প্রশংসা করিল ॥ কেহ বলে অাবল-কাসমে কহি ধন্য । ঐশ্বৰ্য্য যেৰূপ তার তেমনি সৌজন্য ॥ হাবণের ধন্যবাদ কোন সখী কহে । প্রশংসার পাত্র রাজা দানে তু্যন নহে ॥ আর সখী বলে যুবা যথার্থ প্রেমিক । একভাবে দার্দেনীকে ভাবিত ক্রমিক ॥ ইহা শুনি রাজকন্যা কহে ততক্ষণ । কেমনে যুবার যশ কহ সখীগণ ॥ দার্দেনীকে পাশরিয়া বা লুকিসী যার । মনেতে লাগিয়াছিল প্রশংসা কি তার। চাহি যে পুরুষ হবে প্রেমিক এমন । নায়িকা মরিলে তবু না টলে কখন ॥ নিরন্তর একভাবে ভাবিবে তাহারে । ভ্রাস্তে কভু ইচ্ছা নাহি করিবে কাহারে। কিন্তু বোধ নাহি হয় অাছে হেন জন । সহিয়া এতেক দুঃখ রাখে নিষ্ঠামন ॥ ধাত্রী বলে ক্ষমা কর ওগো ঠাকুরাণী । বিশ্বস্ত প্রেমীর গল্প কত আমি জানি । অটল সরল মন এপ্রকার রাখে । সকল সময়ে তাঁর সমভাব থ’কে ॥ শুন আরো বলি তবে প্রমাণ ইহার । শুনিয়া বিশ্বাস হবে পুরুষে তোমার ॥ পারস্য ইতিহাস । রাজা রাজবনশাহ ও চেরেস্থানী রাজকন্যার ইতিহাস । চীনরাজ্য অধিপতি,রাজবন শাহ খ্যাতি, এক দিন গিয়া মৃগয়ায় । দেখে মৃগী মনোহর, শুভ্রবর্ণ কলেবর, নীল পীত চিহ্ল শোভে তায় ॥ কনক নুপুর পায়, অপৰূপ শোভা পায়, মণিময় বাস পৃঠোপরে । হেরিয়া হরিণীৰূপ, হয়ে তামোদিত ভূপ, ধাইলেন ধরিবার তরে ॥ প্রাণ ভয়ে মৃগী তীয়, পলাইয়া বেগে ধায়, অবিলম্বে অদৃষ্ট হইল। নিরাশ হইয়ণ রায়, কহিলেন আপনায়, হায় মোর কি খেদ রহিল। মৃগী নপাইব অার, ক্লেশ মাত্র হলোসার, আকিঞ্চন সকলি বৃথায় । মনেতে বিষাদ কত, ভাবে রাজ। অবিরত মৃগী দেখে পুনশ্চ তথায় ॥ শ্রম শান্তি করিবারে, ক্ষুদ্র এক নদী ধারে, কুরঙ্গিণী করিয়া শয়ন। তারে হেরি পুনরায়,অণহলাদে ভাসিলরায় আনন্দাশ্র পূর্ণিত নয়ন ॥ নৃপে দেখি দুরভাগে,ভয়ে কুরঙ্গিণী আগে লম্ফ দিয়া পড়ে গিয়া জলে । অশ্ব ত্যজি নৃপবর, তটে গিয়া শীঘ্রতর, জলে নামি খুজে কুতুহলে। কিন্তু মৃগী অদশ নে, চমকিত হয়ে মনে, বলে এ সামান্য মৃগী নহে । হবে কোন বিদ্যাধরী, হরিণীর রূপ ধরি, শীকারী ছলিতে বনে রহে ॥ ভূপতি বিস্ময় যত, সঙ্গীগণ সেই মত, সবে ভাবে হবে বিদ্যাধরী।
পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/৪০
অবয়ব