পাতা:পারস্য ইতিহাস.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারস্য ইতিহাস । আরো এই অধিক বিশ্বাস ছিল মনে । ভাগ্য বশে মিলন হয়েছে তব সনে ॥ কিন্তু হায় হায় শেষে এইকি ঘটিল । মায়াবিনী অাসি মোর সুখ বিনাশিল ॥ কোন শত্র মোর মুখে বিদ্বেষ করিয়া । আসিয়াছে মম তুল্য আকার ধরিয়া ॥ এখন কামনা পূর্ণ হইল উহার । বিহরলে চিনিতেমোরে নাহি পারে অfর। সবিনয়ে মহারাজ করিহে মিনতি । নিরীক্ষণ করি দেখ অধিনীর প্রতি ॥ যে নারী তোমার ভার্য্যা প্রেয়সী হইবে । অন্তর তোমীর তীরে চিনিয়া লইবে ॥ নৈমানের রাজকন্যা অ।মি সেই রাণী । ধৰ্ম্ম সাক্ষী এই মাত্র সত্যৰূপ জানি ॥ মায়া ৰূপা নারী মোর এরূপ বচনে । কহিয়া উঠিল পুনঃ লোহিত লোচনে । নির্লজ্জা রমণী কেন প্রবঞ্চনা অার । আচরণে তোর সব হইল প্রচার ॥ খল দুষ্ট মন্তষ্যের স্বভাব এমত । অক্লেশে করিতে পারে সহস্ৰ শপথ ॥ ভুলাইতে দুই চক্ষু অজ্ঞ বশ রাখে। ইচ্ছামাত্র নেত্ৰে জল দেখাইয়া থাকে। দুজনকে কহিলেন রাজা এই কালে । কার্য্যনাই তোমাদের মিথ্যাগে লিনালে ৷ দেখিতেছি উভয়ের অভেদ আকার । , একজন কুহকিনী অবশ্য ইহার । মনে ভাবি হিতে হয় বিপরীত যদি । দোষীরে বধিতে পাছে নির্দোষীরে বধি ॥ নৃপবর কাহাকেও চিনিতে ন পারে । খোজাকেডাকিয়াকাস্থে আছাদিল তারে রাখ নিয়া উভয়েকে ভিন্ন ভিন্ন ঘরে । কালি হবে বিবেচনা যুক্তিমতে পরে ॥ পালঙ্ক হইতে রায় প্রত্যুষে উঠিল । ডাকিয়া উজীর আর ধাত্রীকে আনিল । 8 (? বিস্তারিত বিবরণ সকল কহিল । শুনিয়া আশ্চর্য্য, ধাত্রী দেখিতে চাহিল ॥ মনে ছিল ধাত্রী মেরে চিনিবে হেরিয়া। কিন্তু না পারিল কিছু পরীক্ষা করিয়া । তুল্যাকার দুজনার দেখিয়া অভেদ । ঘটিল বিষম দায় করিতে প্রভেদ ॥ হাঁটুতে অঁ চিল এক চিন্তু মোর ছিল । ক্ষণেক বিলম্বে ধী ক্রী স্মরণ করিল ॥ দেখিল দোহার হাটু জানিতে নিশ্চয়। পাইয়া সমান চিহ্ল ভাবিল বিস্ময় । অবশেষে ধাত্রী মোরে চিনুিবার ছলে । জিজ্ঞাসিল নানা কথা লইয়া বিরলে ৷ বাক্যেতে তিলেক ভেদ নাপায় কাহার। এক কথা এক রব শুনিল দোহার ॥ তথাপি অামার জন্যে বলিল রাজারে । সত্য রাণী ইনি হন রাখিবে ইহারে ॥ কিন্তু সে ধtীর বাক্য শেষে না রহিল । রাজার মন্ত্রীরা সবে বিপক্ষ হইল ॥ বলিলেক ছিল যিনি শয়ন করিয়া । তিনি রাণী অন্য আছে কুহক ধরিয়া ॥ আরো এই পরামর্শ দিলেক রাজ কে । অগ্নিকুণ্ডেপোড়াইয়া মারিতে অামাকে। কিন্তু এই পরামর্শ না শুনিয়া রাজা । কহিল উচিত নহে প্রাণ দণ্ড সাজ৷ দুজনে বধিতে যদি রাণী হত্যা হয় । তার পরে মনস্তাপ হবে অতিশয় ॥ এইরূপ মনে চিন্তা করিয়া ভূপতি। দেশান্তরে দিতে মুেরে দিল অনুমতি ॥ রাজীব অজিতায় পরে যত ভৃত্য গণ । ’ কাড়িয়া লইল মোর বস্ত্র আভরণ ॥ পুরাতন ভগ্ন বস্ত্র পরিধান দিয়ণ । নগর বাহিরে মোরে রাখিলেক নিয়া ॥ ঘটিয়াছে এই ৰূপে দুঃখের কারণ । এখন ভিক্ষায় করি জীবন ধারণ ॥