পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গে কথা বলে অঘোর যেহেতু টের পেয়েছে যে, এ কাগজে মাথা গলাবার সুযোগ সে পাবে না, সেই হেতু এবার থেকে অঘোর তাকে মুস্কিলে ফেলবার চেষ্টা বিশেষ ङ८ डङ्ठ २८ ॥ বিভা বলে, টাকা টাকা করে নাকি পাগল হয়েছে। অথচ বাবা টাকা দিলে নোবে না, এইভাবে ভূমি শক্রতা করছ বাবার সঙ্গে। বাবাও তাই শক্ৰতা করবে। পরম তৃপ্তির সঙ্গে খাবার খেতে খেতে সুনীল নিশ্চন্তভাবেই বলে, বুঝতে পারছি। কি আর করা যাবে ! তোমার সত্যি খুব টাকার দরকার ? টাকার চিন্তায় পাগল হতে বসেছি। টাকা যোগাড় করতে না পারলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। টাকার চেষ্টা করতে নেমে সব যায়গায় ওই একরকম ব্যাপার দেখছি । টাকা দিয়ে কাগজটা বাগানোর উদ্দেশ্যে ছাড়া কেউ টাকা দিতে রাজী নয়। সুনীল ক্ষোভের হাসি হাসে । সমস্যাটা দাড়িয়ে গেছে খুব সোজা। কাগজটার জন্য যাদের দরদ আছে, তাদের নেই টাকা, আর যাদের টাকা আছে কাগজটার নীতির জন্য তাদের নেই মাথা ব্যথা । বিভা বলে, তোমায় বলতে সাহস হয় ন-আমি লুকিয়ে হাজার পচিশেক টাকা দিলে নেবে ? অত টাকা কোথায় পাবে ? BDDS DBDDB D BOD DBLS0S অঘোরবাবুটের পেয়ে যাবেন। পরে টের পেলে আর কি হবে ? একটি রাগারগি করবে-বাস। মেরে তো আর ফেলতে পারবে না নিজের একটা মেয়েকে । সুনীল স্থির দৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে থাকে। বিভা প্রশ্ন করে, কি ভাবিছ ? ভাবছি তোমার টাকা আর তোমার বাবার টাকায় তফাৎ কি \9