পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাপার! সব চেয়ে আশ্চৰ্য্য এই, সে এটা পেরেছে অবস্থার জন্য, অনেক দিকে পিছিয়ে থেকে অনেক দুর্বলতা বজায় রেখেও । আমি আজকাল আর নেগেটিভ দিক ধরে কোন ছেলেমেয়ের বিচার করি না। সব সময় পজিটিভ দিকট; দেখি । কল্পনা মন দিয়ে শোনে। বলে, আরেক হাত ডাল দেব ? ডাল কমিয়ে তুমি বরং দু’একটা ডিম আর খানিকটা দুধ বাড়িয়ে দাও। আমরা ख्ार्ने குரு ஒரீஇ খাব-তুমি বুঝি তাই লজ্জা পাও ডিম দুধ পেতে ? কিন্তু লজ্জা তুমি আমাদেরি দাও । আমরা যেন সেকেলে ভূত, আমরা যেন জানিনে এত খেটে শাস্ত্রীরটা বিগড়ে গেলে তুমি আর খাটতে পারবে না, আমরাই পড়ব বিপাকে। দুধ তার ডিম খেতে ঘা লাগে তার পঞ্চাশগুণ তুমি তখন ডাক্তার আর ওষুধে ঢালবে, আমরা কথাটি একইতে পারব না । দুৰ্গন্ধ ভাত, সুনীল কষ্টে গ্রাসটা গিলে বলে, এ সংসারে তোর তো কথা কওয়ার কথা নয় ! এ সংসারেই থাকব ভাবছি। সুনীল আর ভাতের থালার হাত দেয় না ! বলে, কাল পরশু প্ৰণব নিতে আসবে। এবার যদি না যাও। আর কোনদিন সে আসবে না। তারপর নিজেকে মাথা নীচু করে যেতে হবে। সুরমা বলে, তোমার বোনের মাথা অত সহজে নীচু হয় না। সুনীল ভাত ফেলে উঠে যায়। পরের শনিবার প্রণব আসে। মুখখানা তার গম্ভীর নয়, একটা কঠিন প্ৰতিজ্ঞার চাপে কঠিন, অস্বাভাবিক। কারে সঙ্গে ভালভাবে কথা কয় না, শ্বশুর বাড়ীর আদর আপ্যায়ন সম্পর্কে তার গভীর বিতৃষ্ণা দেখা যায়, খাবার ঠেলে সরিয়ে দিয়ে শুধু চা-টুকু গিলে সে খবরের কাজগটা তুলে নিয়ে চেয়ারে পা তুলে বসে একমনে কাগজ পড়তে সুরু করে। আল্পনা বলে, দাদা এই চিঠিটা রেখে গেছে আপনার জন্য। S AG