পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মধ্যে একবার পাড়ি দিতে বিশ মিনিটের বেশী লাগে না। ড্রাইভার নিশ্চয় । আজকের বিশেষ অবস্থায় আস্তে গাড়ী চালিয়ে ফিরে যায় নি, আঘোরকে নিয়ে আসবার সময় আরও বেশী জোরেই চালাতে হয়েছে অঘোরের হুকুমে। আধাঘণ্টার মধ্যে অঘোর এসে পড়ে। তখনো সবাই জাগা । , গাড়ীতে বসে সে মেয়েকে কথা বলার জন্য ডেকে পাঠায় না। অত বোকা সে নয়। ৩ড্রাইভার মেয়ের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুনুক আর কাল চারিদিকে ছড়িয়ে যাক তার মেয়ের পাগলামির গল্প ! গভীর বিষন্ন মুখে সে বাইরের ঘরে গিয়ে বসে। ভেতর থেকে বিভা ধীর পদে ঘরে এলে আগে অঘোর তার মুখটা ভাল করে CሻCዏ Ceብጻ] ] তারপর দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলে, একি পাগলামি জুড়েছ ? বিভা বলে, কি করব ? তুমি পাগলামি জুডলে আমাকেও করতে হয়। অঘোর ক্ষুব্ধস্বরে বলে, আমি তোর ভালনা করে মন্দ করব এটা তুই ভাবতে পারলি ? তুই জানিস না- * অঘোরের মুখে কথা আটকে যায়! বিভা শান্ত সুরে বলে, তুমি আমার ভালই চাইবে মন্দ চাই”ব না, তা আমি ভাল করেই জানি। আমার ভাল হবে মনেপ্ৰাণে বিশ্বাস কর বলেই তুমি এরকম করছি এটুকু বুঝবার মত বুদ্ধি আমার আছে। না বুঝে ভাল করতে চেয়ে আমার সর্বনাশ করতে চাইছ জানলে কি আর তুমি জবরদস্তি করতে ! টের পাওয়া যায় বিভার কান্না এসে গেছে । क्रिस्g cग्न कॅ८ न । এই যদি তোমার ইচ্ছা ছিল, আটদশ বছর আগে যাকে হোক কিনে নিয়ে চুকিয়ে দিলেই পারতে। আমিও খুন্সী হতাম। অঘোর নীরবে মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে থাকে। কান্না এসে যায় কিন্তু তার সামনে কঁদোনা, মেয়ে তো সত্যিই তার কচি খুকী নেই! SbሙS