পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yাল্পনা ভড়কে যায়। তার মানে ? দাদার মনের মধ্যে ঢুকেছ কি ? বড়লোকের খোড়া মেয়েকে টাকার লোভে বিয়ে করবে। শুধু বাজে মার্কা মানুষ-হয় বাজে লোকের হাতে সারা জীবন কষ্ট পাবে নয় জীবনে কোন মািধ আহ্নলাদ মিটবে না। এটা হিসেব ধরেও হয় তো তোমার দাদা বিভাকে বিয়ে করতে চেয়েছে। কেবল টাকার জন্যেই নয়। আল্পনা মায়ার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। মায়া বলে, নিজের সখের কথা তোর দাদা কত কম ভাবে জানিস না তুই ? তোরাই বলিস মানুষটার হৃদয় নেই! সুনীল স্নান করতে যাবার জন্য প্ৰস্তুত হচ্ছিল । মায়া যতদূর সম্ভব মুখ গভীর করে বলে, এসব কি শুনছি? তুমি নাকি বিভাকে বিয়ে করবে ? তা হবে না। তুমি আগে আমায় কথা দিয়েছ, আমি ছাড়ব না। সুনীল বলে, তুমিই তো রাজী হলে না। তখন। ভাগ্যে রাজী হওনি মায়া ! আমার এতগুলি টাকা পাবার সুযোগ ফসকে ফোত । মায়া ভাবে, ঠিক যা সে ভেবেছে ! সেদিন সে রাজী হয় নি বলে কথাটা একেবারে বাতিল ধরে নিয়েছে সুনীল । নইলে একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কথা। বলে নিলে জগৎসংসার উন্টে গেলেও কি এ মানুষটার কথার নড়াচড় হত ! মুখে সে বলে, কে বললে রাজী হই নি ? আমি তো রাজীই হয়ে গেলাম। তোমার মত বদলানো দরকার হতে পারে। মনে করে কয়েকদিন কথাটা তোমায় ভেবে দেখবার সুযোগ দিয়েছিলাম । সুনীল হেসে বলে, সেই এক কথাই দাড়াল । আমি ভেবে চিন্তে মত বদলেছি--তুমি যে সুযোগ দিয়েছিলে সেটা কাজে লাগিয়েছি। কাজেই আমার কোন দোষ নেই। মায়া এবার হাসে । তোমার সঙ্গে কথায় কে পারবে বল ? আমি কিন্তু সত্যি রাগ করতে SSS