পাতা:পাশাপাশি - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারণ হল অঘোর। বিভাকে সামনে রেখে অঘোর মতলব হাঁসিল করছে খাপছাড়া চিন্তা সে বাতিল করে দিয়েছে । ab তাকে জামাই করার পর অঘোর কোন মতলব আঁটবে কিনা। এ বিষয়ে নিশ্চিন্ত হতে না পারলে তার অস্বস্তি যাবে না । আগীে যে ঘরে সে নিজে কাজ করত। সেখানে ঢুকত্টুে”চেনী কর্মচারীদের মধ্যে একটা পুরূগোল পড়ে যায় । নানা প্রশ্ন আর মন্তব্যে সুনীলকে যেন ঝাঁঝরা করে ফেলার চেষ্টা চলে। Վն ಇff থেকে বেরিয়ে গিয়ে সে একটা খবরের কাগজ চালিয়ে চারদিকে হৈ-চৈ পড়িয়ে দিয়েছে, তারা কি ধারণাও করতে পেরেছিল, সুনীল একদিন এই লাইন ধরবে ! সনৎ বলে, কার মধ্যে যে কি প্ৰতিভা গোপন থাকে জানা যায না । আপনি তার প্রমাণ দেখালেন । সুধীর জিজ্ঞাসা করে, এডিটোরিয়ালগুলি কি আপনিই লেখেন ? তর্ক করার সময় আপনি যেভাবে যুক্তি দিতেনপ্রকাগজের লেখায় তেমনিভাবে যুক্তি সাজানো দেখতে পাই কিনা ! ভূপেন বলে, খুব জোরালো লেখা হচ্ছে। শত্রু বাডাচ্ছেন খেয়াল রাখবেন। কিন্তু { বুড়ো নরেশ বলে, শত্রু তো বাড়বেই। খাটি কথা বললে খাটি কথা লিখলে মতলববাজদের স্বার্থে ঘা লাগে। শক্ৰ যত বাড়চ্চে তার চেয়ে বন্ধু ঢের বাড়ছে এটাও ভুলবেন না যেন । অঘোরের মেয়েকে সে যে বিয়ে করবে। এ কথাটা কেউ উল্লেখও করে না। সুনীল টের পায়, এরা তাকে লজ্জা দিতে চায় না। তাই কথাটা সকলে চেপে যাচ্ছে । অঘোরের ঘরে ঢুকতে সে হাসিমুখে সানন্দে তাকে অভ্যর্থনা জানায়। তার সামনে টেবিলে খান চারেক ইংরাজী বাংলা দৈনিক কাগজ পড়েছিল, সুনীলদের কাগজও তার মধ্যে ছিল। কাগজটা তুলে নিয়ে অঘোর বলে, তোমাদের R oWS0