পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুণ্ডরীককুলকীর্ভিপঞ্জিক। איט\ শতাব্দীর আরন্তেও জীবিত ছিলেন, সুতরাং তিনি অত্যন্ত দীর্ঘ জীবন লাভ করিয়াছিলেন, অনুমান হয় । এই খানে পঞ্জিকার বিবরণ শেষ । তৎপরবত্তী ইতিহাসের জন্ত অন্ত উপাদানের সাহায্য লইতে হয়। সৌভাগ্যক্রমে রাজা নীলকণ্ঠ রায়ের মৃত্যুর পর সময়ের দুই খানি প্রাচীন ফয়শালা পাওয়া গিয়াছে ; তাহা হইতে পঞ্জিকার পরবর্তী শতবৎসরের ইতিহাস সঙ্কলিত করিতে পারা যায়। সন্তোষের পৌত্র ও মনোহরের পুত্র রত্নেশ্বর । রত্নেশ্বরের পুত্রের নাম আনন্দচন্দ্র রায় । ইনি মুর্শিদকুলি খাঁ ওরফে জাফর খা নবাবের সময়ে বৰ্ত্তমান ছিলেন। বাদশাহ ফরোথ শের আনন্দচন্দ্রের সময়ে মুর্শিদকুলি খার প্রতি ফতেসিংহ সংক্রান্ত আদেশ পত্র যে সকল দিয়াছিলেন তাহার দুই এক থান৷ এখনও বর্তমান আছে । মুর্শিদকুলি খাঁ সুলতান আজিমউসশানের পরবর্তী শাসনকৰ্ত্তা । ইনি সুলতানের সহিত বিবাদ করিয়া ঢাকা হইতে রাজধানী উঠাইয়া আনিয়া মুর্শিদাবাদ নগরে রাজধানী স্থাপন করেন। মুর্শিদকুলি খার সময় দেওয়ানী ও নাজিমী পদ একত্র হইয়া শাসনকৰ্ত্তার ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় । তিনি বাঙ্গালার সমুদয় জমাদারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করিয়া পুনরায় নুতন করিয়া বন্দোবস্ত করেন। ফতে সিংহের ষোল আন আনন্দচন্দ্র রায়ের হস্তে আসিয়াছিল । কিরূপে ষোল আনা অংশ তা ৮ার হস্তে আইসে বলা কঠিন । অন্ততর ফয়শালায় উক্ত হইয়াছে যে পূৰ্ব্বে জয়রামের বংশে ছয় আনা, উত্তরের বংশে পাচ আনা ও ভীমের বংশে পাচ আনা সম্পত্তি ছিল । উত্তরের বংশ সম্ভবতঃ লোপ পাওয়ায় সেই পাচ আন ভীমের বংশধরেরা পাইয়াছিলেন । জয়রামের বংশধরগণ সভাসিংহের বিদ্রোহে যোগ দিয়া সম্পত্তিচু্যত হয়েন। এই বিদ্রোহের পর সম্ভবতঃ সমস্ত সম্পত্তিই বাজেয়াপ্ত হইয়াছিল । সন্তোষের পুত্র রঘুনাথ দিল্লী গিয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করিয়া আনেন । এই ঘটনার কিছুদিন পরেই নবাব মুর্শিদকুলি গ। কর্তৃক বাঙ্গালার জমিদারগণের সহিত নুতন বন্দোবস্ত হয়। সেই সময়ে রত্নেশ্বরের পুত্র আনন্দচন্দ্রের হস্তে এক লক্ষ আট হাজার টাকা রাজস্ব বন্দোবস্তে ষোল আনা ফতেসিংহ দেখিতে পাওয়া যায়। বাঙ্গালী ১১২৪ সালে আনন্দ চন্দ্রের অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যু হয়। তিনি