পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o পুণ্ডরীককুলকান্তিপঞ্জিক। স্থাপন করিয়াছিলেন। সীতারাম ও গদাধরও নাবালকগণের অভিভাবক স্বরূপে এই মোকদ্দমায় প্রতিবাদী ছিলেন। উভয় মোকদ্বমাই ডিসমিস श्झेब्रां घtञ्च । অল্পদিন পরে ১২১২ সাল মধ্যে রুদ্রনারায়ণের মৃত্যু হওয়ায় লক্ষ্মীনারায়ণ একাকী জেমোর সম্পত্তির অধিকারী হন। লক্ষ্মীনারায়ণ দাদপুর রমণানিবাসী সাঙ্কতিগোত্রীয় ক্ষীরধর রায়ের ঔরস পুত্র ছিলেন ; দত্তক গ্রহণের পূৰ্ব্বে তাহার নাম ছিল নন্দকুমার । লক্ষ্মীনারায়ণের সমকালে বাঘডাঙ্গার কালীশঙ্কর রায়ের পুত্র পরমানন্দ রায় বৰ্ত্তমান ছিলেন । ১২০১ সালে পরমানন্দ রায়ের জন্ম হয়। পরমানন্দ রায় পবন বাৰু নামে অদ্যাপি প্রসিদ্ধ। পবন বাবু অত্যন্ত দুদান্ত লোক ছিলেন। পবন বাবুর ভয়ে ঐ অঞ্চলের লোক সৰ্ব্বদা ত্রস্ত থাকিত । তিনি সশরীরে দমু্যদলের নেতা হইয়া ডাকাতি করিতে বহির্গত হইতেন । এইরূপে থ্যাতি অর্জন করিয়া সমস্ত সম্পত্তি নশীপুরের রাজা উদমস্ত সিংহের নিকট ঋণ দায়ে আবদ্ধ রাখিয়া পবন বাৰু ১২২৭ সালের আষাঢ় মাসে অপুত্ৰক অবস্থায় পরলোক গমন করেন । জেমোর রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ অতি নিরীহ প্রকৃতি লোক ছিলেন । পবন বাবুর ভয়ে তিনি সৰ্ব্বদা ব্যস্ত থাকিতেন। মিষ্টালাপ ও স্বজন প্রতিপালনের জন্ত র্তাহার খ্যাতি বৃদ্ধি হইয়াছিল । আপনার গ্রামের দরিদ্র প্রজাগণের ঘরে ঘরে গিয়া তিনি সংবাদ লইতেন। রাস্তার বাহির হইলে ছোট ছোট ছেলের দল তাহার সঙ্গে সঙ্গে চলিত ; তিনি তাহাদের সহিত পরিহাস আমোদ করিতেন। ১২০৯ সালের ৫ই কাৰ্ত্তিক তাহার কালীনারায়ণ নামে এক পুত্র ও ১২১৫ সালের ৫ই পৌষ তারিখে দয়াময়ী নামে এক জন্ত জন্মে। উল্লিখিত গদাধর ত্ৰিবেদী চারি ভ্রাতার মধ্যে সৰ্ব্বজ্যেষ্ঠ ছিলেন । অপর তিন ভ্রাতার নাম বৈদ্যনাথ, বিশ্বনাথ ও রামনারায়ণ। গদাধর ত্রিবেদীর পত্নী অশ্বিকা দেবীর গর্ভে সস্তানাদি হয় নাই । বৈদ্যনাথের পত্নী ত্রিপুরা দেবার দুই পুত্র ; নবকিশোর জন্মকাল ১১৯৮ ; ও বলভদ্র জন্মকাল ১২০৫ । বিশ্বনাথেরও পুত্র ছিল না। রামনারায়ণের প্রথম স্ত্রীর গর্ভে রাজকিশোর ও নন্দকিশোর নামক দুই পুত্র ও দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে আরও কতিপয় পুত্র