পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উঠিয়ছে। এটা কলেরার মরসুমের সময়, শ্মশানে ধুম লাগিয়াই আছে। বেশী থাটিতে হওয়ায় শশীর মেজাজ গিয়াছে আরও বিগড়াইয়া । সুন্নানাহারের সময় পায় না, অথচু তেমন পয়সা নাই। কলিকাতায় এরকম পাশার হইলে এতদিনে সে বোধ হয় লাখাপতি হইয়া যাইত । 尊 পরান আশা করিয়াছিল। কলিকাতা হইতে শশী তাহাকে মতির খবর আনিয়া দিবে। শশী ফিরিয়াছে শুনিবা মাত্র সে ছুটিয়া আসিয়াছিল। শশী মুখ তুলিয়া চাহিতে পারে নাই। পরানও চুপচাপ খানিক বসিয়া থাকিয়া উঠিয়া গিয়াছিল। সেটা সকাল । তারপর দুপুরে আসিয়াছিল। কুসুম। বলিয়াছিল, কেন যে মরছে ভেবে ভেবে ! চুরি করে তো আর নিয়ে যায়নি বোনকে কেউ, সে গেছে সোয়ামির সঙ্গে, অত ভাবনা কিসের দিনরাত ?--কি আনলেন আমার জন্যে ? তোমার জন্যে ? কিছু আনিনি বেৰী । কি ভুলো মন মাগো ! কত করে যে বলে দিলাম আনতে ? শশী অবাক হইয়া বলিয়াছিল, কি আবার আনতে বললে তুমি ? কখন বললে ? ওমা, বলিনি বুঝি ? তা হবে হয়তো ! বলব বলে বলিনি শেষ পৰ্যন্ত ? কিন্তু না বললে কি আনতে নেই ? কি অকৃত্রিম ছেলেমানুষি কুসুমের, কি নির্মল হাসি । তারপর কয়েকদিন কুসুমের সঙ্গে দেখা হয় নাই, এই হাসি শশীর মনে ছিল । জোর কন্ধিয়া মনে রাখিয়াছিল। ভাপসা গুমোট, শুষ্ক ভোবা-পুকুর-ভরা গ্রামের রুক্ষ মূর্তি আৱ কলের। রোগীর কদৰ্য সান্নিধ্য, এই সমস্ত পীড়নের মধ্যে কুসুমের খাপছাড়া হাসিটুকু ভিন্ন মনে করিবার মতো আর কিছু শশী খুজিয়া, পায় নাই । జో, কিছু ভাল লাগে না। শশীব্র,-না গ্রাম, না গ্রামের মানুষ । শেষািটর চৌকির শব্দে ঘুম ভা ঙিয়া যায়। তখন হইতে সন্ধ্যার নীরবতা আসিবার আগে কায়েতপাড়ার পথের ধারে বটগাছটার শাখায় জমায়েত পাখির কলরব শুরু হওয়া পৰ্যন্ত, বন্য ও গৃহস্থ জীবনের যত বিচিত্র শব্দ শশীর কানে আসে, সব যেন ঢাকিয়া যায় যামিনীর হামানদিস্তার ঠিকঠুক শব্দে আর গোপালের গম্ভীর কাশির আওয়াজে। বাড়িতে মেহুয়-পুরুষ হাসে কঁাদে কলহ করে, বাইিরে যুবক ও বৃদ্ধের দল VS- খেলে, আডিডা দেয়, চাৰী মজুৱা গয়লা কুমোর সেকরা জেলে দোকানী। এরা ছাড়া অলস অকৰ্মণ্যতার অতিরিক্ত ভদ্র পেশা যাদে আছে আঙলে গুনিয়া ফেলা যায়। শ্ৰীনাথের দোকানের লালচে অ্যালোয় কীৰ্তি নিয়োগীর মাথার তেলমাখা আবটি চকচক করিতে দেখিলে ટનનો o R è