পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাফ পৰ্যন্ত করা হয়নি। যাক, দুজনে হাত চালালে সব ঠিক করে নিতে আর কতক্ষণ । আমি এ ঘরখানা নিয়েছি, এ ঘরে জানালা বেশি আছে একটা ८भफ्रें भांड्र्श्व একটু আলো-বাতাস নইলে হঁাপিয়ে ০উঠি । তোমার ঘরখানা একটু ছোট হল । তা হোক ! তুমি মানুষটাও ছোট, नङ्नु সংসারে জিনিসপত্ৰও তোমার কম, ওতেই তোমার কুলিয়ে যাবে । বাড়িঘর সাফ হয় নাই বটে, নিজের ঘরখানা জয়া কিন্তু ইতিমধ্যেই গুছাইয়া ফেলিয়াছে। জিনিসপত্র নেহাত কম নয় জয়ার, তবে সবই প্ৰায় কমদামী। জিনিসের চেয়ে ঘরের ছবিগুলিই মতির দৃষ্টি আকর্ষণ করিল বেশি। সব ছবিই হাতে আঁকা, ছোট-বড়, বাধা-আর্বাধা, ওয়াটার কলার, অয়েল পেন্টিৎ * প্রভৃতি রঙ-বেরঙের অসংখ্য ছবিতে চারিটা দেওয়াল একরকম ঢাকিয়া গিয়াছে। খুব বড় একটা ছবি দেখিয়া মতি হঠাৎ লজ্জা পায় । জয় খিলখিল করিয়া হাসে, বলে উনি আমার উর্বণী-সতীন ভাই।, - আকাশ থেকে পৃথিবীতে নামছেন কি-না, বাতাসে তাই শাড়িখানা উড়ে গিয়ে “ পেছনের মেঘ হয়েছে। একজন সাতশো টাকা দর দিয়েছে, ও হাঁকে হাজার। আমি বলি দিয়ে দাও না। সাতশয়েই, সাতশো টাকা কি কম, আপদ বিদেয় । হোক। আসলে ওর বেচবার ইচ্ছেই নেই! মতি বলিল, মুখখানা আপনার মতো । তাইতে হাজার টাকা দর হাকে —জয়া হাসিল । * জয়ার সাহায্যে মতি ঘর গুছাইয়া ফেলিল। সামান্য জিনিস, জয়ার ঘরের সঙ্গে তুলনা করিয়া নিজের খরখানা মতির খালি খালি মনে হইতে লাগিল, খেলাঘরের মতো ঠেকিতে লাগিল। কিন্তু সেই দিন বিকালেই জিনিস আসিল । কোথা হইতে টাকা পাইল কুমুদ সে-ই জানে, হোটেলের পাওনা ফাকি দিক, কৃপণ সে নয় । টেবিল, চেয়ার, আলনা বড় একটা তক্তপোষ আনিয়া সে ঘর বোঝাই করিয়া ফেলিল, নীল-শেড-দেওয়া সুন্দর একটি টেবিল-ল্যাম্প ও মতির Very vesta qFata esse fosfa verifa