পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চলিবে না-জীবন-যাপনের প্রচলিত্ব নিয়মকানুন ওদের পক্ষেও অপরিহার্ধ হইয়া উঠিবে। আজ সে কথা কিছুই বলা যায় না। পুতুলনাচের ইতিকথায় সে কাহিনী প্ৰক্ষিপ্ত-ওদের কথা এইখানেই শেষ হইল। যদি বুলিতে হয় डिन्न दहेछ्रे जेिथिन्ना दनिद । . كړه R হাসপাতালের নব-নির্মিত গৃহটি দেখিতে ভারি সুন্দর হইয়াছে। ইটের উপরে লাল-রঙ-করা ছোটখাট ঝকঝকে সুশ্ৰী বাড়িখানা দেখিয়া আপসোর্স হয় যে এটা না দেখিয়া যাদবের মরা উচিত হয় নাই। সামনে কর্নিসের নীচে ইংরেজীতে বড় বড় অক্ষরে লেখা হইয়াছে—যাদব মেমোরিয়াল হস্পিট্যাল। তবু লোকে মুখে বলিতে বলে, শশী ডাক্তারের হাসপাতাল। যাদবকে যে লোকে ভুলিয়া গিয়াছে তা নয়। যাদবের সঙ্গে হাসপাতালের সম্পর্কটা প্ৰতীক্ষ-গোচর হইয়া থাকে নাই,-অথচ এদিকে শশীকেই সকলে হাসপাতালটি গড়িয়া ফুলিতে দেখিয়াছে এবং এখন সে-ই সমাগত রোগীদের সযত্বে বিতরণ করিতেছে ওষুধ । হাসপাতাল প্ৰতিষ্ঠার হাঙ্গামা শেষ হইয়াছে, শশীর যশ ও সম্মানের বৃদ্ধি স্থিগিত হয় নাই। জনসাধারণের সমবেত মনটা চিরদিন একাভিমুখী, যখন ফেলিক ফেরে। সেই দিকেই সবেগে ও সতেজো চলিতে আরম্ভ করে। জন রবের তিলটি যে দেখিতে দেখিতে তাল হইয়া উঠে তার, কারণও তাই। লোকমুখে ছোট ঘটনা বড় হয়-মানুষও হয়। শশী অসাধারণ কাজ কিছুই করে নাই, যাদব যে কৰ্তব্যভার তার উপরে চাপাইয়া দিয়া গিয়াছিলেন সেটুকু কেবল ভালভাবে সম্পন্ন করিয়াছে। ফলটা হইয়াছে অচিস্তিতপূর্ব! নেতার আসনে বসাইয়া সকলে তাঁহাকে অনেক উচুতে তুলিয়া দিয়াছে। কয়েকটি স্থানে বৃক্তৃতা’। করিয়া শশীর বলিবার ক্ষমতাটাও খুলিয়া গিয়াছে আশ্চৰ্য बैंकभ । সভা-সমিতিতে এখন তাহাকে প্রায়ই বলিতে হয়, সকলে নিবিড় মনোযোগের সঙ্গে তারঃ কথা শোনে। শশী আবেগের সঙ্গে কথা বলিলে সভায় আঁচুবেগের সঞ্চার হয়; হাসির কথা বলিলে আকস্মিক সমৰেন্ত হাসির শব্দে সভার আশে-* পাশের পশুপাখি চমকাইয়া ওঠে। So