পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপাল বলিল, ঘুম পাচ্ছে ? তা পাবে বই-কি, স্নাত কি কম হল । শরীরটাও তো তোমার, ভাল নেহঁ। একটা মানুষ মরে যাচ্ছে তাই, নইলে তোমায় ভাষ্কতাম না। শশী । শশী চুপ করিয়া রহিল । গোপাল ব্যগ্ৰভাবে বলিল, যাবি না একবার ? শুধু তো মরবে না। শশী, কি যন্ত্রণাই যে পাচ্ছে। শশী, বলিল, রাজিতপুর থেকে ওরা ডাক্তার আনাল না কেন ? বিকেলে লোক পাঠালে এতক্ষণে এসে পৌছত ! গোপাল বলিল, সে বুদ্ধি কারো হয় নি । তুই গায়ে থাকতে বাজিতপুরে ডাক্তার আনতে লোক পাঠাবেই বা কেন ? তোর চেয়ে তারা তো বেশি। জানে-শোনে না। ডাকলে তুই যে যাবি না, ওরা তা ভাবতেও পারেনি রূপানাখ এখন আমার হাতে পায়ে ধরে কঁাদাকাটা করছে বাবা । তুই অপমান করে তাড়িয়ে দিলি, তাই তোর কাছে আসতে আর সাহস পাচ্ছে না । শশীর ভয়ানক কষ্ট হইতেছিল, সে মৃদুস্বরে বলিল, মান-অপমান তো আমারও ऊ८ । । গোপাল বলিল, না, না, তোকে অপমান করে নি। শশী । না বুঝে যাদ একটা কথা বলে থাকে, কথা গোপাল শেষ করে না । তারপর দুজনেই ठून করিয়া থাকে । উসাধুস করে গোপাল, করুণ চোখে সে তাকায় শশীর দিকে, মেরজাই-এর ফিতাটা টান দিয়া খুলিয়া বুকটা উদলা করিয়া- দেয়, থাইয়া উঠিয়া পান মুখে দিবার সময় পায় নাই, তবু হয়তো অভ্যাসে, হয়তো মানসিক চাঞ্চল্যে, মুখের শূন্যতাটা পানের মতো বার কয়েক চিবাইয়া দেয় ! বড় অদ্ভুত রকমের শ্ৰীহীন দেখায় গোপালকে । গোপাল যে নিজেই তাহাকে অনুরোধ করিতে আসিতে পরিবে শশী এটা ভাবিতে পারে নাই। এত বেশি সেনদিদির জীবনের মূল্য গোপালের কাছে ? একদিন ওর চিকিৎসা করিতে কেন তবে সে তাক্লে বাধা দিয়াছিল ? গভীর দুঃখ ও লজ্জায় শশীর মন ভরিয়া গিয়াছিল, আৰু সে মনে মনে আশ্চৰ্য হুইয়া গেল। * বসন্ত যখন রূপ মুছিয়া লইয়া গেল সেনদিদির তখন মমতা আসিল গোপালের, এমন গভীর অবুঝ স্নেহ! তারপর শশী বলিল, যান, শোবেন যান। আপনি । আমি যাচ্ছি ১উবাড়ি fামাটা গায়ে দিয়ে । ۔چہ تی গোপাল নিরুত্তরে উঠিয়া গেল। মুখ দিয়া আর তাহার কথা বাহির DL KLD BBD SDBDD DD SS S yBi DLLB DBLuT Du uLuLLTS SS LLLL LLG R R R