পাতা:পুতুলনাচের ইতিকথা - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুটিল হইয়া ওঠে না। "তাহার নির্ভরশীলতা কখনো টুটুয়া যায় না। না, মতির কোন অভাবনা নাই। সে কিছু জানে না, কিছু বোৰো না, পৃথিবীর সবই তাহার কাছে অভিনব, অভিজ্ঞতার অতীত ; কুমুদকে হাত ধরিতে দেওয়া উচিত কি অনুচিত সে তার কি জানে। ওসব কুমুদ বুঝিবে। রাজপুত্ৰ প্ৰবীর বুঝিবে । মতির বিশেষ লজ্জাও করে না। তবে, হঠাৎ চোখ নীচু করিয়া একটু যে সে হাসে সেটা কিছু নয়। দিন ও রাত্রির মধ্যে দুপুরের সময়ের গতি সবচেয়ে শিথিল। দুপুরের অন্ত নাই। আকাশের সূৰ্য কতক্ষণে কতটুকু সরিয়া তাহদের গায়ে রোদ ফেলেন জানা যায় না । তাহারা উঠিয়া টিলাটার দিকে চলিতে থাকে। \eकि निदिए छद्म छद्धांछिद्धि । যমিনী কৰিরিাজের বেী বঁচিয়া উঠিয়াছে। ভগবানের দয়া, যামিনী কবিরাজের বৌ এর কপাল, শশীর গৌরব । গোপাল ছেলের সঙ্গে আজকাল প্ৰায় কথা বন্ধ করিয়া দিয়াছে। যামিনী কবিরাজের বেী বঁচিয়া উঠিয়াছে বলিয়া নয়, অন্য কারণে । অন্তত সাধারণ মানুষের তাই ধরিয়া লওয়া উচিত । ব্যাপারটা হইয়াছিল। এই । শণীর পসার হইয়াছে। বাজিতপুরের সরকারী ডাক্তারকে ড্রাকিতে খরচ অনেক । অনেকে শশীকেই ডাকে । যামিনী কবিরাজের বৌ-এর চিকিৎসার জন্য উক্তয়েক দিন শশী দূরে কোথাও যাওয়া তো বন্ধ রাখিয়াছেই, তিন মাইল দূরের নন্দনপুরের কাল পর্যন্ত ফিরাইয়া দিয়াছে। এই সময়টা যামিনী কবিরাজের বেী মরিতে বসিয়াছিল। গোপালের উস্কানিতে যামিনী ঝগড়া করিয়া অপমান করিয়া শশীর আসা-যাওয়া বন্ধ করিবার চেষ্টা করিয়া সফল হয় নাই । দুর গ্রামে রোগীশদেখিতে পাঠাইতে না পারিয়া ছেলের উপর গোপাল ক্ষেপিয়া গিয়াছে। অথচ বাড়াবাড়ী করিবার সাহস তাহদের ছিল না। শশীকে তাহারা দুজনেই ভয় কুরিতে শুরু করিয়া দিয়াছিল। মুক্তরােপ স্বীকারঞ্জাই একটা লক্ষণ । মনে হয়, সকলে বুঝি সব জানে। সাপ উঠিয়া পড়ার অশক্ষায় কেঁচো খুড়িবার চেষ্টাতেও মানুষ ইতস্ততঃ । আকাশে চাদ }