পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুত্ৰশোকাতুর দুঃখিনী মাতা। টক! মৃত্যু আমার ক্ষুদ্র শিশুটিকে অপহরণ করিয়া কোন পথে পলায়ন করিয়াছেন ? তাহার দেখা কোথায় পাই, তুমি আমাকে বলিয়া দিতে পার ! শ্যাকুল কাটার ঝোপ কহিল, দেখ, শীতে আমার কি দুরবস্থা ঘটিয়াছে, প্রাণপৰ্যন্ত বিনষ্ট হইবার উপক্রম হইয়াছে। যদি তুমি বক্ষঃস্থল দিয়া কিছুকালের নিমিত্ত তামীকে আচ্ছাদিত করিয়া রাখ তাহা হইলে ভোমার শরীরের উত্তাপে আমি উত্তাপিত হইয়া আপন প্রণ রক্ষা করিতেপারি ৮ৰ্মত্য বলিতে কি, ইহা না করিলে, মৃত্যু কোন পথে গিয়াছেন আমি তোমায় বলিয়া দিব না। এই কথা শুনিয়। সেই অপত্যবিরহিণী জননী কষ্টক রুক্ষকে আপনি বক্ষঃস্থলে লইয়। ধারণ করিলেন । তাহতে র্তাহার কোমলাঙ্গে কটক বিদ্ধ হইয়| কতইবা রুপির নিতি হইল । পুত্ৰশোকের তুল্য এজগতে আর কোন শোকই নাই, এত যে শোণিত ধারা পতিত হইয়া উহার পরিধান বস্ত্রখানি অদ্র হইয়। গিয়াড়িল, ইহাতেও তিনি তাদৃশ কাতর হইলেন সী, পুত্র প্রাপ্তির অশায় অনেক ক্ষণ পৰ্য্যন্ত বক্ষঃস্থলে কটক ধারণ করিলেন। শোকাকুল মাতার হৃদয়স্থল অতিশয় উষ্ণ হইয় থাকে, কন্টক রক্ষ তাহীর সংস্রলে সে টু দারুণ শীতকালের রাত্রিতে ও উষ্ণতা প্রাপ্ত হইল, এবং পত্র মুকুলাদি বিস্তার করিয়া একেবারে সতেজ হইয়া ট ঠল । অনন্তর ক্ল তজ্ঞ চিত্ত্বে সেই দুঃখিনী নারীকে কোন পথে যাইতে হইবে ভাই; বলিয়া দিল । এইরূপে সেই দুঃখিনী জননী কিয়দূর গমন করেন, যাইতে যাইতে পথিমধ্যে একটা প্রকাণ্ড হ্রদ দেথি ষ্ট্র