পাতা:পুত্রশোকাতুরা দুঃখিনী মাতা এবং নায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দায়কশোকাতুরা দুঃখিনী নায়িকা। • ১৯ এক্ষণে তাহার ভ্রমণের কথা বলি শুন, এক দিন সে প্রজাপতির পালকের উপর চডিয। মৃতা করিতে করিতে নেবু গাছের উপর গমন করিল । নেৰুপাতার উপরে যে সকল প্রশস্ত এবং অপ্রশস্ত পথ অাছে, পরি তাহার পরিমাণ করিয়া বেড়াইতে লাগিল । উহাও তাহার পক্ষে অধিক দূর পথ হইয়া পড়িল অৰ্দ্ধেক পথ ভ্রমণ না করিতে, করিতেই সুর্য্য অস্ত হইলেন । কিন্তু ইহাতে একটি কথা আছে, সে প্রাতঃকালে বহির্গত না হইয় অধিক বেলাতে যাত্রা করিয়াছিল । যাহাহউক অৰ্দ্ধপথেই সন্ধ্যা হইল। একে অপ অলপ শীত, তাহাতে আবার বায়ু সঞ্চরণ এবং শিশিব পতন হইতে লাগিল, অতএব গৃহে প্রত্যাগমন করাই তাহাব পক্ষে শ্রেয়ঃ বোধ করিয়া, সে সাধ্যানুসারে স্বরা করিতে কোন ক্রটি করিল না । কিন্তু ত্বরা করিলে কি হইবে, সে আসিতে আসিতে গোলাপ ফুল গুলিন সমুদায়ই মুদিত হইয়াছিল, একটিও প্রস্ফুটিত ছিলনা যে তাহার ভিতরে প্রবেশ করিয়া রাত্রি যাপন করে । ক্ষুদ্র পরির আর ভয়ের পরিসীমা রহিল না । পুৰ্ব্বে সে সৰ্ব্বদা গোলাপ দলের উপরিভাগে শয়ন করিয়া রাত্রি কালে মুখে নিদ্র। যাইত, সেতে। আর কখনও কোন দিন বাহিরে গমন করে নাই । আহা নিশ্চয় বোধ হইতেছে এই দুরবস্ততেই হয়তো তাছার মৃত্যু হইতে পারিবে । বাগানের এক পাশ্বে একষ্টি নিকুঞ্জবন ঝুমকালতাতে আচ্ছাদিত ছিল, তাহ সে ভাল রূপে জানিত। ঐ লতাতে মুকুল গুলিন রংমাখান শৃঙ্গ সদৃশ বড় বড় দেখাইতে ছিল । পরি মনে করিল আমি গুড়ি মারিয়া কোন প্রকারে