এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মুকুট রায়
১৩৯
(হায়) বেউর জঙ্গলা পথে ঘোড়া চলিতে না পারে।
হাটিয়া চলিল কুমার ছাড়িয়া ঘোড়ারে॥৪২
কতখানি দূর গিয়া নজর কর্যা চায়।
হীরামন তোতা এক গাছের ডালে দেখা যায়॥৪৪
মাথায় সোণার ছিট সোণার বরণ পাখী।
এমন সুন্দর রূপ নয়ানে না দেখি॥৪৬
জীবন্ত ধরিতে কুমার মনে যে করিল।
হেনকালে হীরামন শূন্যেতে উড়িল॥৪৮
পাছে পাছে চলে কুমার উর্দ্ধপানে চাইয়া।
মেহনত[১] অইল বড় জঙ্গলা ঘুরিয়া॥৫০
কতখানি দূর গিয়া কুমার সামনেতে চায়।
একটি সুন্দর কন্যা সামনে দেখতে পায়॥৫২
পিন্ধনে গাছের পাতা গাছের বাকলা।
কন্যার গায়ের রঙ্গে বেউর উজালা॥৫৪
ভাই রে ভাই—
মুখের বরণ কন্যার সোণা চাম্পা কলি।
দুই হস্ত তুল্ছে কন্যার বেলাইনতে বেলি’[২]॥৫৬
পিষ্ঠেতে বাহিয়া পড়ে উদাম[৩] দীঘল চুল।
দুই ত কন্নেতে শোভে ধামনার[৪] ফুল॥৫৮
এক হাতে শোভে ধনু আর হাতে তীর।