বাইশ মুণী পাথর দিল রাজা বুকে ত তুলিয়া।
লোক লস্করা গেল তার রাজ্যে ত পলাইয়া॥২২২
(৭)
(হায় ভালা) শীতল মন্দির ঘরে থাক্যা তাহা চাম্পাপুতি শুনে।
আপনি বহিল লোর কন্যার দুই নয়ানে॥২২৪
ভেউরা জঙ্গলার মাঝে বিরক্ক সারি সারি।
এক বুণ্টায়[১] ফুট্ল ফুল রে পুরুষ আর নারী॥২২৬
যার উবুরা[২] মাটিরে দিয়া ভালা বিধাতা গড়িল।
সেই ত করম পুরুষ রে আইসা দেখা দিল॥২২৮
বাপে দিলা বাক্যি দান রে প্রভু হইলা তুমি।
জীবনে মরণে বন্ধু প্রাণকান্ত তুমি॥২৩০
বাপে দিলা বাক্যি দান আমি হইলাম দাসী।
আইজের না ফুটা ফুল রে কাইল যে হইব বাসি॥২৩২
আইজে গাইথাছি মালা শীতল মন্দিরে।
বহুত না কইরা আশা বন্ধু পরাইবাম তোমার গলে॥২৩৪
সুগন্ধি চন্দন চুয়া রাখ্যাছি যতনে।
যৌবন ঢালিয়া দিবাম বন্ধু তোমার চরণে॥২৩৬
কেশেত মুছাইয়া চরণ পালঙ্কে বসাইম।
সাজাইয়া বাঙ্গালা পান রে মুখে তুল্যা দিম॥২৩৮
তোমারে পাইব বল্যারে, বন্ধু, কতই না আশায়।
বড় দুঃখে দিন গেল রজনী না যায়॥২৪০
চাম্পা ফুলের মালা গলে বন্ধু আইবা মন্দিরে।
আইজ কেন আইলা শুনি দুম্মনের বেশে।
আইজ কেন আইলা শুনি লড়াইকের সাজে॥২৪৩