“শুন অল্প বুদ্ধি কন্যা নিজেরে ভাড়াও[১]।
সোণার থালার অন্ন থুইয়া বনের ফল খাও॥
সুবর্ণ পালঙ্ক কন্যা ফুলের বিছানা।
কুশ কণ্টকে দিব দেহে তোমার হানা॥
কটু তিক্ত বনের ফলে সুখ না পাইবা।
দুরন্ত আশার আশে কান্দিয়া মরিবা॥
বান্ধিয়া সোণার ঘর আগুনে না পোড়।
মনেরে সম্বরি কন্যা যাহ নিজ ঘর॥
“সত্য কথা প্রাণ বন্ধু কহি যে তোমারে।
তোমার দারুণ বাঁশী আমায় থাকতে না দেয় ঘরে।
বাঁশী হইল গরল জ্বালা বাঁশী হইল কালা।
এই বাঁশী শুনিলে আমার সকল যায় ভোলা॥”
“শুন অল্প বুদ্ধি কন্যা কহিযে তোমারে।
বিসর্জ্জন দিলাম বাঁশী তুমি যাও ঘরে॥
আর না বাজিবে বাঁশী কানে লো দংশিয়া[২]।
ঐ দেখ যায় বাঁশী ঢেউয়ে ত ভাসিয়া॥”
“বাঁশী নাই তুমি ত আছ আমার হৃদের রতন।
আমারে না লহ সাথে কেবল লইয়া যাও মোর মন
তিল দণ্ড তোমারে ছাড়া না থাকিতে পারি।
তোষের আগুনে বন্ধু রৈয়া রৈয়া পুড়ি॥
বন্ধু যত সে বুঝাও।
আমার মনেরে বুঝান হইল বড় দায়॥