শুনিলে পরাণ বন্ধু দুঃখ পাইব ভারি।
বিনা দোষে ছাড়ে পতি আপনার নারী॥
পতির কোন দোষ নাইরে যত দোষী আমি।
বান্ধিয়া রাখিলাম বিষ না খাইলাম আমি॥
দুষ্মন রাজার পুত্র মারিব পতিরে।
তেহি সত্য করিলাম তাহার গোচরে॥
মরিতাম খাইয়া বিষ কি করিত মোরে।
দেশ ছাইড়া পরাণ পতি যাইত বহুদুরে॥
আমি যে মরিতাম হায়রে কোন দুঃখ নাই।
পরাণে বাঁচিত বন্ধু দুষ্মনের ঠাঁই॥
সাক্ষী হইও তরুলতা তোমরা সকলে।
আমার যতেক কথা বন্ধু নাহি জানে॥
সাক্ষী হইও চান্দ সুরুজ সাক্ষী হইও তোমরা।
বগুলা কন্যার গান যত দুঃখুভরা।”
কান্দিয়া কাটিয়া কন্যার দুঃখের দিন যায়।
আর এক রাজার পুত্র পথে পাইল তায়॥ (৩৭৫—৩৯৪)
(১৯)
জোরেত ধরিয়া তারে লৈল নিজ দেশে।
কন্যা বলে আমার যে এক ব্রত আছে॥
ব্রতের যতেক বেশ অঙ্গে বিদ্যমান।
কন্যায় কয় “রাজার পুত্র রাখ আমার মান॥
বার মাস গেছে ব্রত প্রতিষ্ঠার কাল।
নাইসে ভাইঙ্গ ব্রত মোর না ঘটাও জঞ্জাল॥”
“তোমার বরত করতে কন্যা কোন কোন দব্ব লাগে।”
“মেষ লাগে মইষ লাগে আর কৈতর লাগে॥