শায়ণ মাস্যা ধারা যেমন চউখ অবিরত।
বেগেরতা[১] করিয়া সাধু করত চায় পিরীত॥
সাধুর যত কাণ্ড দেখ্যা কুমার পায় দৈছত[২]।
কি উপায় করবাইন কুমার হইলা ভাবিত॥
চুপাচুপ গিয়া কুমার হাতিয়ার পাতি যতে।
এক এক কর্যা ফালাইল গাঙ্গের মধ্যেতে॥
বাছিয়া লইল কুমার ভালা রামদাও খানি।
চোরের মতন আইল কুমার ডিঙ্গার পিছনি॥
পাছাত আইয়া কুমার কাটে কাড়ালীরে[৩]
কাড়ালীর সাজ ধইরা কুমার ডিঙ্গার কাড়াল ধরে॥
কাড়াল ধরিয়া ডিঙ্গা ঠেকাইল চরেতে।
না লড়ে না চড়ে ডিঙ্গা কি হইল আচম্বিতে॥
নাইয়া মাল্লা যত আছিল হিক পায়্যা[৪] টানে।
বালুর কামুরে ডিঙ্গা লাগ্যাছে বিষুমে॥
নাইয়া মাল্ল। যত আছিল সকলে নামিল।
হিয়া হৈল বল্যা সবে হিক পাইয়া টানিল॥
টানাটানি কর্যা ডিঙ্গা না পারে লড়াইতে।
এরে দেখ্যা সাধু আস্যা নামিল চরেতে॥
এন কালে বীরনারায়ণ কোন্ কাম করে।
দাখিল হইল গিয়া কন্যার গোচরে॥
দেখিয়া সে কন্যা সোণা[৫] কুমারে চিনিল।
কুমারের দুই পায় বেড়িয়া ধরিল॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (চতুর্থ খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০০
পূর্ব্ববঙ্গ গীতিকা