এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রতন ঠাকুরের পালা
(১)
“চান্দের বাগের ফুল নারে সূরজে দিলাইন দড়ি[১]।
এই না ফুল দিয়া আমি মালা খানি গাঁথি॥২
গাঁথিতে গাঁথিতে রে মালা, মালা আরে মালঞ্চ উজার[২]।
এই না মালার নাম আমার ‘বসন্ত-বাহার’॥৪
শতেক না চাম্পা ফুলে আরে গাঁথলাম মালা।
মাধ্যে মাধ্যে দিছি ফুল কালা না রে ধলা[৩]॥৬
শুন শুন বিরধবিরধ=বৃদ্ধ। বাপ শুন বলিরে তোমারে।
এই মালা লইয়া যাহ রে তুমি তিরপুরার হাটে।৮
তিরপুরার হাটখানি বইসে বিয়ান বেলা[৪]।
সেই না হাটে বিকাইয়া আইস চিকণ ফুলের মালা॥১০
শুন শুন বাপ আরে কহি যে তোমার আগে।
এই মালা বিকাইয়া আইস কাহনার দরে[৫]॥”১২
মালা লইয়া বিরধ মালী হাটে চল্যা যায়।
একেলা ঘরেত কন্যা শুইয়া নিদ্রা যায়॥১৪