“মাও হইয়া শাশুড়ী হইলা কোন বা লাজে নিতে আইলা
মনের নাও পবনের বৈঠা ডুবরে ডুব”
“থালে ভাত ভিঙ্গারে পানি
আইস আইস কন্যা জীরালনী।”
“বাপ হইয়া শ্বশুর হইলা
কোন বা লাজে নিতে আইলা গো।
ওরে মনের নাও।
পবনের বৈঠা বাইয়া পাতালপুরে যাও॥
কোন্ জনে দেখাইমু মুখ, মুখে মাখলাম কালী
ওরে পবনের নাও।
অভাগী জীরারে লইয়া পাতালপুরে যাও॥
যুদি আসে অভাগী মাও কইও তারি কাছে।
তোমার না জীরালনী পাতালপুরে আছে॥”
“থালে ভাত ভিঙ্গারে পানি আমার মাথা খাও।
শুন ভইন জীরালনী মোরে না ভাড়াও॥”
“ভাই হইয়া সুয়ামী হইলা।
কোন্ বা লাজে নিতে রে আইলা রে॥
ওরে মনের নাও।
এই মুখ দেখিবার আগে পাতালপুরে যাও॥
পবনে বৈঠা কন্যা ফালাইল দূরে!
ঝলকে উঠিয়া পানি মনের নাও বুরে[১]॥
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাইঙ্গা পড়ে নদী যে পাগেলা।
ডুবিল সুন্দর কন্যা সোণার পুতুলা॥
মাও গেল বনবাসে কন্যা ডুবে জলে।
গাঙ্গের ঘাটে নাইসে লোক আপ যারে বলে।(১—২৬)
- ↑ বুরে=ডুবিয়া যায়।