এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরীবানুর হাঁহলা
৪৬১
রাজার সঙ্গেতে তান দুস্তি[১] তৈল শেষে।
ঘর বাড়ী ছাড়ি সুজা রৈল রোসাং দেশে॥
তারপরে কি হইল কেম্নে বয়ান করি রে।
সাইগরে ডুপালি পরীরে—(১—৩২)
(8)
দুনিয়াতে জাইন্য ভাইরে লালছে[২] পড়িয়া।
মানুষে মানুষর বুকে বিঁধে ছুরি দিয়া॥
দুদিন্যা[৩] দুনিয়া খোদা দিয়ে দুখ্যে ভরি রে।
সাইগরে ডুপালি পরীরে—
একদিন পরীবানু দোমাহালার ঘরে।
খসমের কাছে বসি রং তামাসা করে॥
শত দুখ্খ বাদসা তখন গেলা যে পাসরি রে।
সাইগরে ডুপালি পরীরে—
রোসঙ্গ্যার রাজা তখন সেই পন্থ দিয়া।
হাবা[৪] খাইত যাইত আছিল হাতীতে চড়িয়া॥
আতাইক্যা[৫] দেখিল এই অপরূপ সোন্দরীরে।
সাইগরে ডুপালি পরীরে—
সোন্দরী পরীর তখন দোলে নাগর[৬] নথ।
মন মনুরা[৭] দিল উড়া দেখিয়া ছুরত॥
হাতীর উপরে রাজা যায় গড়াগড়ি রে।
সাইগরে ডুপালি পরীরে—