পীর কহে সকরেদগণ না ভাবিহ ধন্দ।
বন্দিশালা ঘরে গিয়া সোণারায়ে বান্ধ॥
হাতেতে লোহার ছিক্কল, কোমরে বাঁধল দড়ি।
বাইশমণি পাথর দিল বুকের উপর তুলি॥
বাপ না দেখে মাও না দেখে পরাণ বুঝি যায়।
বার দইরা ঘুইরা কান্দে সোণারায়ের মায়॥
হারে বন্ধে বাজুবন্ধ তার।
সোণার মুটুক মাথে ফুল বেগম সাজে রে
গলায় পরে হীরামণ হার॥
সোণার টোপর মাথারে ফুল বেগম সাজেরে
বাছ্যা পিন্ধে আসমান তারা শাড়ী।
সোণার মুটুক মাথে ফুল বেগম সাজেরে
সাজ্যা গুজ্যা চলে সুন্দর নারী॥
চান্দের কোলে শালম গাছটি বায় হাল হাল করে।
সেই না গাছের তলায় বসি বুড়ী সুতা কাটে॥
ওলো বুড়ী তোর সুতার কিবা কাপড় বুনে।
আমার সুতা উড়িয়া পড়িব জমিনে॥
চান্দের চারদিকে ফুটল সোণার ফুল।
নিশি রাইতে ফুল বেগম ঝাইড়্যা বান্ধে চুল॥
চুল বান্ধিয়া নারী কোন্ কাম করিল।
বন্দীশালা ঘরে গিয়া দাখিলা হইল॥
আইন্ধার আইন্ধার জলক্কার আসমান ভরা ভরা।
সেই অসমানে ফুইট্যা রইছে মাণিক্য হীরা॥