পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२● भूददछ शैडिका একখানি দেখিয়াছি। সকলের বর্ণনীয় বিষয়ই এই প্ৰাচীন রূপকথার প্ৰতিপাদ্য কাহিনী । ‘কমলা-সদাগর’ নামান্তর গ্রহণ করিলেও আমাদের সেই চিরপরিচিত গল্পটিই পালাগানের আকারে উপস্থিত হইয়াছে। পালাগানের মধ্যে “কমলসদাগর’ ‘জিরালনি’ এবং ‘মধুর মা” এই তিনটিতেই ব্যভিচারিণী পুরমহিলার বর্ণনা দেখিতে পাই। প্ৰাচীন বঙ্গসাহিত্যের অন্য কোথাও রমণীগণের // ব্যভিচারের কথা নাই। বিদ্যাসুন্দরের বিদ্যা ব্যভিচারিণী নহেন। কবি র্তাহার সহিত সুন্দরের গন্ধৰ্ব-বিবাহের ব্যবস্থা করিয়া তারপরে প্রেমপ্রসঙ্গের অবতারণা করিয়াছেন। চণ্ডীকাব্যের দুর্বল দাসী, রামায়ণের মন্থরা, শীত বসন্তের বিমাতা-ইহারা দুষ্ট প্রকৃতির সন্দেহ নাই; কিন্তু হিন্দুলেখকগণ নৈতিক হিসাবে পতিতা নারীর প্রতি এরূপ বিদ্বিষ্ট ছিলেন যে তঁহারা ভ্ৰষ্টা// চরিত্র অঙ্কিত করিতে স্বভাবতঃই সন্ধুচিত হইতেন। একথা আমরা মাধুর মার ভূমিকাতে একবার উল্লেখ করিয়াছি। কুচরিত্র যদি লোভনীয় করিয়া অঙ্কিত করা যায়, তবে তাহার ফল ভাল হয় না। জিরালনির রাজকুমারী এবং কমলসদাগরের পত্নী সোনাইয়ের চরিত্র কবিগণ এমনভাবে অঙ্কিত করেন নাই যে তাহাদের দ্বারা কোনও পাঠক লুব্ধ হইতে পারেন। ইহারা প্ৰায় সূৰ্পণখা জাতীয়া, প্রীতি অপেক্ষা ঘূণাই অধিকতর আকর্ষণ করেন। একমাত্র মাণ্ডুর মা পতিত চরিত্রা হইয়াও কবির অপূর্ব সদাশয়তার জন্য উজ্জ্বল রূপে ফুটিয়া উঠিয়াছেন। তৎসম্বন্ধে আমরা যথাস্থানে সবিস্তার লিখিয়াছি। বৈষ্ণব সাহিত্যে রাধিকাকে কেহই সামান্য নায়িকা মনে করেন না। রাধিক প্রেম ও ভক্তির রূপক। সুতরাং তঁহাকে আধ্যাত্মিক সিংহাসন হইতে নামাইয়া সাংসারিক চরিত্রগুলির সঙ্গে তুল্য মূল্য দিতে অনেকেই ইচ্ছক হইবেন না। বৈষ্ণবেরা ত নহেনই, হিন্দুমাত্রই বোধ হয় র্তাহাকে কুন্দনন্দিনী কিংবা রোহিণীর কোঠায় ফেলিয়া লাঞ্ছিত করিতে রাজী হইবেন না । এই পালায় কোনওরূপ বিশিষ্ট কবিত্বের পরিচয় নাই। তবে মোটামুটি BD DBD BB DDD SS SsODB DBDBB DBDBDS BBB DBD DBDDD কয়েক পরিচ্ছেদের পরেই কাহিনীটিতে যেন কৌতুহল জাগিয়া উঠিয়াছে।