পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूबिक è S আরাকানাধিপতি রাজা সুধৰ্ম্মের সভায় সাহ সুজার যে সাক্ষাৎকার হয় তৎ-সম্বন্ধে রাজমালায় লিখিত হইয়াছে যে, ত্রিপুরার রাজা গোবিন্দমাণিক্য তদীয় বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা ছত্রমাণিক্যকর্তৃক বিতাড়িত হইয়া আরাকানে আগমন করেন। এই সময়ে আওরঙ্গজেবের সঙ্গে যুদ্ধে পরাভূত হইয়৷ শ্ৰীভ্রষ্ট সহ সুজাও আরাকানে আসিয়াছিলেন। গোবিন্দমাণিক্য আধাকান রাজসভায় একটা সিংহাসনে উপবিষ্ট ছিলেন। সাহি সুজা এই সময় সভায় উপস্থিত হইলে ত্রিপুররাজ সসম্মানে সিংহাসন হইতে উঠিয়া সাহি সুজাকে তথায় বসিতে অনুরোধ করেন। গোবিন্দমাণিক্যের এই ব্যবহারে আরাকানৱাজ বিস্মিত হইয়া তাহাকে গোপনে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি একজন মেচ্ছকে এত সম্মান দেখাইয়৷ সিংহাসন ছাড়িয়া দিলেন কেন ?” উত্তরে গোবিন্দমাণিক্য বলিলেন, “মহারাজ, এই সােহ সুজা অতি প্রবল সম্রাটু, আমার ও আপনার ন্যায় অনেক রাজা ইহার অধীন ; এমন অনেক প্রবল নরপতি আছেন, র্যাহারা সাহি সুজার মন্ত্রীর নিকটেও সিংহাসনে বসিতে সাহসী হইবেন না ।” সুজা বাদশাহকে সিংহাসন ছাড়িয়া দিয়া গোবিন্দমাণিক্য অপর এক সিংহাসনে উপবিষ্ট হইলেন এবং সভা শেষ হইলে ত্রিপুররাজ সুজার সঙ্গে একত্ৰ বাহির হইয়া গেলেন । পথে উভয়ের মধ্যে আলাপ-সালাপ চলিল । সাহ সুজা বলিলেন, “আপনি আজ মগরাজার সভায় আমাকে বিশেষ সংবৰ্দ্ধনা করিয়াছেন। আপনি আমার বর্তমান অবস্থা সকলই অবগত আছেন। আমি আপনাকে আমার বাৰ্ত্তমান অবস্থায় কি আর পুরস্কার দিতে পারি ?” এই বলিয়া সাহি সুজা তাঁহার বক্ষোবিলম্বিত বহুমূল্য “নিমচা”-খানি রাজাকে উপহার দিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে আর একটা মূল্যবান হীরার আংটিও প্ৰদান করিলেন । রাজমালা-বর্ণিত এই বৃত্তান্তের উল্লেখ, আশুবাবু অতি সংক্ষেপে করিয়াছেন। পালা-গানটী ক্ষুদ্র হইলেও আমরা ইহা হইতে স্পষ্টরূপে জানিতে পাই যে, রাজা সুধৰ্ম্ম সািহ সুজাকে, তাহার পত্নী পরিভানু ও একটী কন্যাসহ সমুদ্রে নিক্ষেপ করিয়া নিহত করেন। আরাকানের সর্বত্র এই প্রবাদ