পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (তৃতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( বন্য মহিষের মত জন্তুবিশেষ) দ্বারা কখনও কখনও গৃহস্থের গাভী গর্ভবতী হইয়া থাকে। এইভাবে উৎপন্ন মিশ্র জন্তুগুলি প্রায়ই গৃহস্থ গৃহে ষাঁড় কিংবা গরুর মতই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই পশুর প্রকৃতি এরূপ দুর্দান্ত যে সে মাঝে মাঝে ক্ষেত্রস্বামীকে শৃঙ্গাঘাতে বধ করিয়া থাকে। নিম্ন উপত্যকবাসিনী নিরীহ চেউয়া পরীকে লুধাগাজি নামক এক দুৰ্দান্ত ব্যক্তি বলপূর্বক স্বগৃহে লইয়া আসে। তাহার উৎপীড়নে চেউয়া পরী শুধু গৰ্ভবতী হন না, শেষে মৃত্যুমুখেও পতিত হইয়াছিলেন। এই দুইটি বিরুদ্ধ প্ৰকৃতির সংযোগে BB DBDDDS DBDBDD D D KDBBD BDDBB BBBD BD KK DB ভীষণ হইয়া উঠিয়াছিল। হয়ত তাহার সর্বংসহা ধৰ্ম্মশীলা মাতার পুণ্যরাশি যৌবনে তাহার প্রকৃতিতে লুক্কায়িত ছিল এবং সেই জননীর পুণ্যফলে মনসুর যৌবনের সীমা অতিক্ৰম করিয়া ধৰ্ম্মবীরে পরিণত হইতে পারিয়াছিল। পাঠক এই গীতিকা পাঠ করিয়া মনসুর দস্যর ইতিহাস অবগত হইবেন। আশুবাবু হাইদগাঁও ( থানা পটীয়া) নিবাসী সেকেন্দার গাইন, বোয়ালখালি থানার অন্তৰ্গত ধোলরা গ্রামবাসী আলিয়র রহমান ( আইল্যা আঁধা ) এবং কোতায়ালী থানার অন্তৰ্গত চরচাকিতাই নিবাসী ওজু পাগলা-এই তিন গায়কের নিকট হইতে পালাটি সংগ্ৰহ করিয়াছেন । সেকেন্দার গাইন সম্বন্ধে আশুবাবু লিখিয়াছেন, “সে ব্যবসায়ী গায়ক। চুরির অপরাধে তাহার একবার জেল হইয়াছিল ; কিন্তু মুসলমান ধৰ্ম্মের তত্ত্বকথাগুলি সে এমনি ভাবে গাহিতে পারে যে, নিরক্ষার চাষী সম্প্রদায়ের অনেকেই তাহাকে একজন ছোটখাটো দরবেশ বলিয়া মনে, করে। সেকেন্দার প্রথমে আমাকে আবৃগারীর গোয়েন্দা বলিয়া ভ্ৰম করিয়াছিল। তাহার পুলিশভীতি এতই প্ৰবল যে, আমাকে পুলিসের লোক মনে করিয়া সে কোনও রূপেই ধরা দিতে চাহে নাই। অনেক কৌশলে যখন তাহার সহিত আমার হৃদ্যতা সংস্থাপিত হয়, তখন সে তাহার হৃদয়ের অন্তঃস্থল পৰ্য্যন্ত আমাকে দেখাইয়াছিল। জেলখানার দুঃখের কাহিনী-সংক্রান্ত স্বরচিত একটি গীত গাহিতে গাহিতে সেকেন্দারের চােখে জল গড়াইয়া পড়িতেছিল “বিধি মোরে হইল বিমুখ । সরীলে না সহন যায় রে জেহেলখানার দুখ ৷