খেলায় খেলুনী[১] পাশা রাত্রি নিশি পাইয়া।
মঘুয়ার নায়ে ডিঙ্গাধর পড়ে ঘুমাইয়া॥৫৪
তবে ত দুষ্মণ মঘুয়া কোন কাম করে।
কাটিয়া ডিঙ্গার কাছি ভাসায় সায়রে[২]॥৫৬
সাধু লইয়া মঘুয়ার ডিঙ্গা সুতে ভাইস্যা যায়।
ডিঙ্গাধরের মাঝিমাল্লা সুখে নিদ্রা যায়॥৫৮
ঠার[৩] পাইয়া মঘুয়ার যত মাঝিমাল্লাগণ।
উজান সুতে[৪] উড়ায় পাল পৃষ্ঠেতে পবন॥৬০
একেলা আছয়ে ঘরে সাজুতী সুন্দরী।
দুই চার দাসী তার আছে পাটুয়ারী[৫]॥২
বিয়ান বেলা[৬] বুন্ধা[৭] আইসা খবর জানায়।
সাধুত আইসাছে ঘাটে শব্দ শুনা যায়॥৪
এই কথা শুনিয়া তবে ডিঙ্গাধরের নারী।
কোমরে বান্ধিয়া পড়ে ময়ূর পাঙ্খা শাড়ী॥৬
হাতেত পরে তার বাজু করিয়া যতন।
চাম্পা ফুল দিয়া কন্যা বান্ধিল লুটন[৮]॥৮
লুটনে তুলিয়া দিল সোণার ভমরা।
কপালে কাটিয়া দিল সুবর্ণের তারা॥১০
নাকেতে বেশর দিল কাণে ঝুম্কা ফুল।
কপালে সিন্দুর দিল পক্ষী সমতুল॥১২
পায়ে দিল গোল খারু পঞ্চম গুঞ্জরী।
এই মতে সাজন করে ডিঙ্গাধরের নারী॥১৪