এ কথা শুনিয়া হারে শান্তি হেট করে মাথা।
ধর্ম্ম না বুঝিয়া[১] আজ শান্তি পোছেন[২] আরেক কথা॥
“কোন সহরে বাড়ী হারে তোমার সাধু কোন সহরে ঘর।
কি নাম তোমার মাতাপিতার আর কি নামডী[৩] তোমার॥”
“বাহাটিয়া বাড়ী আমার বাহাটিয়া ঘর।
বাপ আমার কল্পতরু মাও গণেশ্বর॥
পেরথম কার্ত্তিক মাসে শান্তি বিয়া করছি তোরে।
হাউস কইরে নাম রাইখ্যাছে আমার তিল্যাম সওদাগরে[৪]॥”
“যদি আইস্যা থাক মোর হারে সাধু তুমি থাকরে ঐখানে।
আমি বাড়ী যাইয়া শুইন্যা আসি আমার মা বাপের জবানে।”
“কি কররে বের্ধ[৫] মা বাপ কি কর বসিয়ে।
কার বা খাইছাও টাকাকড়ি মাধন কারছুন[৬] দিছাও বিয়ে॥”
“বার না বচ্ছরের হারে শান্তি তের নাহি পোরে।
আজ যৈবনের ভারেতে শান্তি তুমি জামাই বল কারে॥”
হাতে নয়ে খৈল খরসী[৭] মাথায় তৈলের বাটী।
হেলিতে দুলিতে চলে আজ জামাই চিন্তি।
“চিন্যাছি চিন্যাছি হ্যারে শান্তি তোমার নিজ পতি।
আওগাইয়া[৮] লওগ্যা শান্তি আজ গলার গজমতি॥
বাইর কর বেসরের ঝাপি শান্তি খোলরে ঢাকিনী।
দুই হস্তে বাহিয়া নাওলো আজ আবের চিরুণ খানি॥”
</reflist> ১৭
- ↑ ধর্ম্ম সাক্ষ্য করিয়া।
- ↑ পোহেন = জিজ্ঞাসা করেন।
- ↑ নামডী = নামটি।
- ↑ তিল্যাম সওদাগরে = সখ করিয়া আমার নাম তিল্যাম সওদাগর রাখা হইয়াছে।
- ↑ বেরধ = বৃদ্ধ।
- ↑ কারছুন = কার কাছে। মা তুমি কার নিকট টাকা লইয়া আমাকে বিয়া দিয়াছ? মাধন = মাতার প্রতি প্রীতি বাচক সম্বোধন।
- ↑ খরসী = খৈলের প্রকার ভেদ।
- ↑ আওগাইয়া = অগ্রসর হইয়া। অথবা অর্ঘিয়া অর্থাৎ পূজা করিয়া।