মনে বিষ মুখে মধু এতেক কহিয়া।
ভেলুয়ার নিকট গেল বিদায় মাগিয়া॥
যত সলা করে সাধু নিরালা বসিয়া।
মেনকা সুন্দরী আইল সকল শুনিয়া॥১০৪
সকল গোপন কথা কয় ভেলুয়ার স্থানে।
দুষ্মণে করিল ফন্দি বসিয়া গোপনে॥
এই কথা শুনি ভেলুয়া হইল পাগলিনী।
শারীরে শিখায় গান দুষ্কের কাহিনী॥১০৮
আবু রাজার কথা যত সব শিখাইল।
পবন ডিঙ্গা বাইয়া কন্যা জৈতাশ্বরে আইল॥
একে একে শুনায় কন্যা হীরণ সাধুর কথা।
শারীরে কান্দিয়া কয় প্রাণের যত ব্যথা॥১১২
তোমারে মারিতে সাধু বন্ধু তোমার আশে।
পরাণ লইয়া তুমি যাও নিজ দেশে॥
আমি যে বন্দিনী প্রিয়া ঐনা জৈতাশ্বরে।
বনেলা[১] পঙ্খিনী যেমন পইড়াছে পিঞ্জরে॥১১৬
দুষ্কিণী ভেলুয়ার কথা না ভাবিও আর।
আগুণে পুড়াইয়া তনু করবাম ছারখার॥
গলে দিবাম হীরার কাতি[২] ডুবিবাম সায়রে।
বাচিলে না আইস বন্ধু এই জৈতাশ্বরে॥১২০
এখানে আসিলে তোমার অবশ্য মরণ।
রূপ হইল বৈরী আমার কাল হৈল যৈবন॥
হীরণ সাধুরে ভেলুয়া ডাকিয়া আনিল।
এই শারী সঙ্গে লইতে মাথার কিরা দিল॥১২৪