ঘরেতে হীরার কাতি তাই দিবাম গলে।
আর না দেখাইবাম মুখ নটুয়া মহলে[১]॥”২৪
এতেক বলিয়া কন্যা কান্দিয়া আকুলা।
দুই চক্ষে বহে ধারা বসনে মুছিলা॥
মেনকা কহিছে “সই মোর কথা ধর।
কিরূপে উদ্ধার পাবে বিপদে সায়র॥২৮
স্বীকার কর কন্যা তুমি আমার কথা রাখ।
দুষ্মণ রাজারে তুমি ভাল চক্ষে দেখ॥
বিবাহ করিবা বলি দেও ত সকতি[২]।
তোমারে বরিব[৩] রাজা তুমি পরাণ-পতি॥”
আইল আইল আবু রাজা রাত্র নিশাকালে।
দুষমণ আসিয়া তবে ভেলুয়ারে বলে॥৩৪
“হারানিধি পাইয়াছি বিধি মিলাইল।
আমার কথা শুইন্যা কন্যা পরাণ কর মিল॥
গণকে দেখাইয়া আমি দিন করেছি স্থির।
এর মধ্যে বিয়া কইরা হইবাম সুস্থির॥৩৮
আইজ কাইল কইর্যা কন্যা না ভাঁড়াইও আর।
তোমার লাইগ্যা করাইয়াছি গজমতি হার॥
তোমারে লইয়া কন্যা জলটুঙ্গি[৪] ঘরে।
রাত্রনিশা কাটাইবাম বুকের উপরে॥৪২
কালা দীঘল কেশ তোমার রূপার বরণ আখি।
পাগল হইয়াছি কন্যা তোমার যৈবন দেখি॥
পাতা:পুর্ব্ববঙ্গ গীতিকা (দ্বিতীয় খণ্ড দ্বিতীয় সংখ্যা) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভেলুয়া
১৯৯