(আরে ভাইরে) মায়ের পায়ের ধুলা আর চক্ষের পানি।
অঞ্চল না দিয়া মুখ মুছায় মা জননী॥৪৮
রণেতে চলিল জামাল বিদায় হইয়া।
অধুয়া সুন্দরীর কথা শুন মন দিয়া॥৫০
(১৫)
চট্টানে[১] আসিয়া জামাল কি কাম করিল
সঙ্গের যত ফৌজ জামাল জিরাইতে[২] বলিল।
পত্র লিখিল জামাল অধুয়ার কাছে
জামালের কথা কন্যার মনে আছে॥৪
শুন শুন অধুয়া গো বলি যে তোমারে
জঙ্গেতে[৩] চলিলাম আমি দিল্লীর ছহরে।
নিচিন্ত হইয়া তুমি আছ যে ছুইয়া[৪]
জন্মের মত যাই আমি বিদায় হইয়া॥৮
আজি হইতে তোমার বুক হইল যে খালি
একদিন না লইলাম তোমায় কোলের মধ্যে তুলি।
নিজের হাতে পানের খিলি তুল্যা নাহি দিবা
দেওয়ানা ফকীরে আর চক্ষে না দেখিবা॥২০
হায় হায় অধুয়া গো ফাট্যা যায় যে বুক
আর না দেখিবাম আমি তোমার চান্দ মুখ।
আর না হইব দেখা কর্ম্মের লিখন
আর না হইব দেখা থাকিতে জীবন॥১৬
বড় আশা ছিল মনে তোমাকে লইয়া
সুখেতে করিব বাস মুন্ছ[৫] বান্ধিয়া
যাইবার কালে দেখা না হইল যে আর
আর না হইব দেখা সঙ্গেতে তোমার॥২০