পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d > R क्षक-वक । করিতে আর কোন অসুবিধা হয় না । পুরোহিত, যজমানবাড়ী যাইয়া লক্ষ্মী ও সরস্বতীর পূজা দিয়া থাকেন; গুরু, লক্ষ্মী সরস্বতীর পূজা করিতে শিষ্যকে উপদেশ দিয়া থাকেন ; নিজেরা কিন্তু কোন দেবীরই উপাসনা করেন না, না লক্ষ্মীর না। সরস্বতীর। কৌলিন্য প্রথার তীক্ষ বিষদন্ত ভাঙিয়া গিয়াছে। এখন পূর্বের হ্যায় কেহ আর একশত বিবাহ করিয়া, অতিথির বেশে সাড়ে তিন দিন প্ৰতি শ্বশুর বাড়ী থাকিয়া, সৎম্বসরটা কাটাইয়া দেন না, তা হ'লেও কৌলিন্যের জের আছে, কতকাল যে থাকিবে, কে বলিতে পারে ? ঈদৃশ অলস ভিক্ষাজীবীগণ নিজ পরিবারে দৈন্য-দুৰ্গতির একশেষ জন্মাইয়া দেশের দারিদ্র্য বুদ্ধির সহায়তা করিতেছে। ভিক্ষায় যে কেবল “নৈব চ নৈব চ”, তাহা নহে, চাকরির ন্যায়। ইহাও মনস্বীর মনস্বিতা হরণ করে, মানীর মান লাঘব করে, পুরুষের পুরুষত্ব বিনষ্ট করে। যে দুইটা বৃত্তি এতাদৃশ দোষসম্পন্ন, তাহাই আমাদের জীবিকার প্রধান অবলম্বন । যে সমাজ ভিক্ষুকের দল সৃষ্টি ও পোষণ করে, সেই সমাজের সকল শ্রেণীর লোকই প্রয়োজনবোধে ভিক্ষাপাত্ৰ হাতে লইতে লজ্জা বোধ করে না। ভিক্ষাবৃত্তি যে নিতান্ত ঘূণ্য, জঘন্য, সে জ্ঞানটা পৰ্য্যন্ত সে সমাজের থাকে না । কোন একটী উৎকৃষ্ট প্ৰথা মহৎ উদ্দেশ্য লইয়া জন্মগ্রহণ করিলে, এবং সমাজে সুপ্ৰতিষ্ঠিত হইলে, কালক্রমে মানুষের দোষে তাহাতে কালিমা স্পর্শ করিয়া থাকে ; এমন কি, কোন কোন স্থলে তাহা বিপরীত ফল প্রসব করে। একান্নভুক্ত পরিবার প্রথা বহুকাল হইতে ভারতে প্ৰবৰ্ত্তিত। যুক্ত পরিবারে সুখ শাস্তি ও উন্নতি লাভের এবং প্ৰেমবিকাশের বিশেষ সুবিধা আছে। বহুগুণযুক্ত হইলেও এই প্ৰথা বর্তমানে অনেকস্থলে পারিবারিক দারিদ্র্য ও অশান্ত্রির কারণ হইয়া দাড়াইয়াছে।