পাতা:পূজা ও সমাজ - অবিনাশচন্দ্র চক্রবর্ত্তি.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুসঙ্গ । ܕܘ ܘ ܪ করিতে পারি। আবার, সন্তানের পক্ষে সুপিতা-সুমাতা, শিষ্যের পক্ষে সদগুরু, তীর্থসলিলের ন্যায় পুণ্যশীতল, পাবকের দৃষ্টায় পাবন। অসৎসঙ্গ সোনাকে লোহা করে। ব্ৰাহ্মণতনয় গৌতম, ব্যাধের সংসর্গে থাকিয়া পক্ষীহননপটু ব্যাধত্ব প্ৰাপ্ত চাইয়া, হিংসাপরায়ণ কুৎসিত জীবন অতিবাহিত করিয়াছিল। সঙ্গদোষে সাধু চোর হয়, যোগী যোগভ্ৰষ্ট হয়। এমন কি, বাঘের সঙ্গে থাকিয়া মানুষ, বাঘের প্রকৃতি পায়। আমরা শুনিয়াছি—একবাব কোন এক পরিবারের একটিী দুগ্ধপোস্য শিশু সন্তানকে একটা বাঘিনী হরিণ করিয়া লইয়া যায়। বাঘিনী তাহাকে প্ৰাণে না মারিয়া বনের মধ্যে সন্তানস্নেহে নিজ সন্তানদিগের সহিত লালনপালন করিতে লাগিল, স্তন্যপান করাইয়া ব্যাচাইয়া তুলিল । ক্ৰমে শিশু বাড়িতে লাগিল, ক্রমে হাটিতে শিখিল। বাঘের মতন সে তখন ডাকে, বাঘের মতন হাটে, বাঘের মতন শিকাব ধ’রে আম মাংস খায়। সকল রকমেই বাঘের অনুকরণ করিয়া-বাঘের স্বভাব পাইয়া একটা ব্যাস্ত্ৰ-শিশু হইল। অনেক দিন পর দৈবাৎ তাহাকে পাইয়া লোকালয়ে আনিয়া গোতৃদ্বন্ধ পান করিতে দেওয়া হইল, কিন্তু বহু. যত্নেও বাচিল না, কিছু কাল পর মরিয়া গেল। মানুষের স্বভাবই এইরূপ যে, সে একাকী থাকিতে ভালবাসে না, একাকী থাকিতে পারে না। শিশু, যুবা, বুদ্ধ সকলেই সঙ্গী চায়। একাকী থাকা নির্জন কারাবাসতুল্য ক্লেশপ্রদ। লোক সংখ্যা ও সভ্যতাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অসংলোকের সংখ্যাও বৃদ্ধি হওয়াই সম্ভবপর। বস্তুতঃ সাধুর ' ংখ্যা চিরকালই কম। সুতরাং সঙ্গনির্বাচনবিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। অভিভাবক, ভাল সঙ্গী বাছিয়া না দিলে, অসৎ-. সঙ্গে পড়িয়া বালকের সর্বনাশ হইতে পারে। সঙ্গনির্বাচন অতি কঠিন কাৰ্য্য । ইহা লোকচরিত্র জ্ঞানের উপর অনেকটা নির্ভর করে। তরল